সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশাল মিডিয়ায় মেয়েদের প্রায়ই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। বিষয়টা খানিক যেন জলভাতের মতোই হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাজপোশাকের পাশাপাশি বডি শেমিং… নেটজনতার আতসকাচ যেন তৈরিই থাকে সবসময়ে! আর তার প্রভাবও স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয় সোশাল মিডিয়ায় দাপিয়ে বেড়ানো মিম-পোস্টে। একের পর এক অশালীন, কদর্য মন্তব্যের ভিড়। আর তারকা কিংবা তারকা সঙ্গী হলে তো কথাই নেই! আবির চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্যের স্ত্রীদের নিয়ে কম কুরুচিকর আলোচনা হয়নি। সম্প্রতি রুশা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামীকেও সোশাল কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। বর্তমানে দিন দুয়েক ধরে নেটপাড়ার ‘মুখরোচক’ চর্চার বিষয় পরমব্রত-পিয়া চক্রবর্তীর বিয়ে।
এবার সেই প্রেক্ষিতেই গর্জে উঠলেন আবির চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমার বিয়ে হয়েছে ১৬ বছর হয়ে গেল। নিজেকে ভাগ্যবান লাগে যে আবির অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয় হওয়ার অনেক আগেই কাজটা সেরে ফেলেছি। সোশাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এত জনপ্রিয় হওয়ার আগে বিয়েটা করে নেওয়ার জন্য নিজেকে সত্যি ভাগ্যবান লাগে। জানি না বিয়ের পর মুহূর্ত থেকে অচেনা-অজানা মানুষদের থেকে ক্রমাগত ধেয়ে আসা নোংরা, অসভ্য অশালীন মন্তব্য শুনে আমার মানসিক অবস্থা কী হত! ভাববেন না এটা কোনও একজন তারকার সঙ্গীকেই এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কাউকে রেয়াত করা হচ্ছে না। সে কারও আগের কোনও সম্পর্ক হোক বা কাউকে বডি শেমিং করা। কোনও না কোনও কারণে আপনাকে নোংরা কথা শুনতেই হবে। কী অসাধারণ সমাজ আমাদের।”
নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়ের এমন পোস্টে আওয়াজ তুলেছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির বহু তারকা। খোদ নবপরিণীতা পিয়া চক্রবর্তীও মুখ খুলেছেন সেই পোস্টে। তাঁর মন্তব্য, “ট্রোলিং অত্যন্ত টক্সিক। তবে একটা জিনিস তুমিও জানো, আর আমিও বুঝেছি সময়ের সঙ্গে- নিজের অন্তর্জগৎটা যদি সুন্দর থাকে, যদি আনন্দে আর শান্তিতে থাকে- এইসব কেমন যেন ধুলোর মতো মিলিয়ে যায়। তাই এসব ট্রোল আমাকে আর স্পর্শ করে না। অনেক কষ্টের অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে আজ আমি এখানে পৌঁছেছি।”
স্বস্তিকার মন্তব্য, “১৫ বছর আগের প্রেমকেও টেনে আনল। আমার আর অবাক লাগে না!” ইমন চক্রবর্তী বলছেন, “আসল সৌন্দর্য ভিতরের। আমার কাছে, আমাদের কাছে তুমি আবিরদার জন্য পারফেক্ট। ও তোমাকে ভালোবাসে। আর আমরাও তোমাকে ভালোবাসি।” গায়িকা সাহানা বাজপেয়ীও বিরক্ত প্রকাশ করে লিখেছেন, ১৫ বছর হল এক তারকার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে। কিন্তু সেটা নিয়ে আমাকে এখনও ট্রোলড হতে হয়। ওরা আমার মেয়ে রোহিনীকেও ছাড়ে না, ক্রমাগত ওর পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.