সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীমণির জীবনে একের পর এক ঝড়। কখনও আইনি জট। কখনও ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্ক নিয়ে নানা সমস্যা। স্বামী শরিফুল রাজকে ছেড়ে, দুই সন্তান নিয়ে দিব্যি ছিলেন। হঠাৎ আদালত থেকে পেলেন ডাক। রবিবারের ব্যস্ততা ঝেরে ফেলে ফের পরীমণি পৌঁছে গেলেন আদালতে। হঠাৎ কী হল?
ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, টানা তিন বছর ধরে আদালতে যৌন হয়রানির মামলা চলছে তাঁর। রবিবার সেই মামলার জন্য সাক্ষ্য দিতে ফের আদালতে হাজির পরীমণি। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার এজলাসে সাক্ষ্য দেন দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা। এ দিনের শুনানির ফলাফল এখনও জানা যায়নি।
তিন বছর আগে ঠিক কী ঘটেছিল?
২০২১ সালে বোট ক্লাবে ভাঙচুর, ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাছিরউদ্দিন মাহমুদকে মারধর, হত্যার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে অভিনেত্রী ও তাঁর দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের নাকি সত্যতা পেয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার তদন্তকারী আধিকারিক ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলও করে দিয়েছেন বলে খবর।
বিষয়টি ২০২১ সালের জুন মাসের। অভিযোগ, সে বছরের ৮ জুন তুহিন সিদ্দিকি অমি রাত সাড়ে নটা নাগাদ বনানি কিংস বেকারি শপে থাকাকালীন পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদি ওরফে জিম তাঁকে ম্যাসেঞ্জারে কল করে বনানির বাসায় যাওয়ার অনুরোধ করেন। বাসায় যাওয়ার পর অমির সঙ্গে পরীমণি এবং ফাতেমা তুজ জান্নাত বনিদের দেখা হয়। এর পর পরীমণির অনুরোধে তাঁরা রাত ১২.২২ মিনিটে বোট ক্লাবে যান।
তখন নাকি পরীমণি ডিসপ্লেতে থাকা একটি ব্লু লেবেল বোতল দেখতে পান এবং পার্সেল করে দিতে বলেন। ওয়েটার জানান বোতলটি বিক্রির জন্য নয় এবং ক্লাবের সদস্য ছাড়া পার্সেল দেওয়া যাবে না। অভিযোগ, এতেই পরীমণি উত্তেজিত হয়ে হট্টগোল শুরু করেন ও নাছিরউদ্দিন মাহমুদের দিকে অ্যাশট্রে ছুড়ে মারেন। পরীমণির ডিজাইনার বাদী নাছির মাহমুদকে গালমন্দ করেন, মারধরও করেন। পরীমণির ছুড়ে মারা একটি গ্লাস নাছিরউদ্দিন মাহমুদের বুকে লাগে। রাত আড়াইটে নাগাদ তাঁকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হয়। এই মামলার জন্য়ই রবিবার আদালতে ডাক পরেছিল পরীমণির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.