সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও যে ‘সামাজিক’ হওয়া যায়, মহৎ কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা যায়, তা বোধহয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকারই দেখিয়ে দিলেন। এই অতিমারীকালে লকডাউনে বাড়িতেই কাটিয়েছেন তিনি। সঙ্গী ছেলে সহজ আর দুই প্রিয় পোষ্য! অবসরযাপনে বই পড়া, গাছের যত্ন-আত্তির করা, সবই করেছেন। কিন্তু লকডাউন খানিক শিথিল হতেই যেন মন আর মানল না ওদের জন্য! মা-বাবাহারা যে বাচ্চাগুলো আত্মীয়-পরিজন ছেড়ে অনাথ আশ্রমে থাকে। তাই হঠাৎই খাবার-দাবার এবং অত্যাবশকীয় সামগ্রী নিয়ে পাড়ি দিলেন সোনারপুরের এক অনাথ আশ্রমে। বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটালেন। চুটিয়ে আড্ডা দিলেন। তবে সবটাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে।
দিন কয়েক আগেই সোনারপুরের ‘আ হোম ফর অরফ্যানস অ্যান্ড ওল্ডেজ’ (A Home For Orphans & Old-age ) নামে এক অনাথ আশ্রমে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তবে সেখানে তিনি দুস্থ বাচ্চাগুলোর জন্য যা করলেন, তা নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে ফলাও করে পোস্ট করা তো দূরের কথা! এমনকী, এই নিয়ে কোথাও কোনওরকম মন্তব্য করতেও নারাজ তিনি। অভিনেত্রীর এক ফ্যানপেজের মাধ্যমেই জানা গেল তাঁর এই মহৎ উদ্যোগের কথা। একেবারে নিঃশব্দেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Sarkar)।
কীভাবে সময় কাটালেন ওই অনাথ আশ্রমে গিয়ে? বাচ্চাদের হাতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়ার পাশাপাশি কীভাবে সংক্রমণ এড়ানো যায়, তার পাঠও দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। বারবার হাত ধোওয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার কথা বলেছেন। তবে অভিনেত্রী তাদের এও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, এই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে যেন কোনওভাবেই সবার সঙ্গে মিশতে না ভুলে যায় তারা। ছেলে সহজকে যেমন প্রকৃতি রক্ষার পাঠ দেন, সেরকমই যেখানেই যান বাচ্চাদেরও প্রকৃতি রক্ষার দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের কথা বলেন। শুধু এই হোমেই নয়, কলকাতা শহরের এরকম আরও অনেক হোমেই নাকি এভাবে সাহায্য করেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। এমনটাই শোনা গেল।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তা প্রচার করেন না কেন? এক্ষেত্রে অভিনেত্রীর সাফ উত্তর, “মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার কর্তব্য। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করার কিছু নেই। আমি আমার দায়িত্বটুকু পালন করেছি মাত্র!”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.