সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’ দশক পেরিয়ে গেলেও কৃষ্ণসার হরিণহত্যার ‘অভিশাপ’ পিছু ছাড়েনি ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ টিমের। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালেই পাঁচ বছরের কারদণ্ড দেওয়া হয় সলমন খানকে। যদিও দু’ রাতের বেশি জেলে কাটাতে হয়নি বলিউড সুপারস্টারকে। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়ে যান। সেই হত্যামামলার প্রতিশোধ নিতে আজও সলমনকে তাড়া করে বেড়ায় বিষ্ণোই গ্যাং। তবে সেইসময় তথ্যপ্রমাণাদির অভাবে বেকসুর খালাস হয়ে যান সইফ আলি খান, তাব্বু, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম এবং দুষ্মন্ত সিং। কিন্তু রাজস্থানের নিম্ন আদালত তাঁদের নির্দোষ ঘোষণা করলেও রাজস্থান সরকার এই নির্দেশ মানতে পারেনি। অতঃপর ফের সেই অভিশপ্ত স্মৃতি ফের ফিরে এল সইফ-তাব্বুদের জীবনে। রাজস্থান সরকার দুই তারকার বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত! তাঁদের খালাসের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সম্প্রতি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
এই অবশ্য প্রথম নয়। লাগাতার আইনি জটিলতায় পড়তে হয়েছে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ টিমকে। ১৬ মে, শুক্রবার বিচারপতি মনোজ কুমার গর্গের আদালতে লিভ-টু-আপিল আবেদনের শুনানি হয়, যিনি বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট বিচারাধীন মামলাগুলির সাথে তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই। ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সলমন খানের শাস্তি হয়। যোধপুর আদালত সলমনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও দু’রাতের বেশি জেলের ভিতর কাটাননি সলমন। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ছাড়া পান তিনি। সইফ আলি খান, তাব্বু, নীলম ও সোনালি বেন্দ্রেকে বেকসুর খালাস করে আদালত। কিন্তু রাজস্থানের নিম্ন আদালত তাঁদের নির্দোষ ঘোষণা করলেও রাজস্থান সরকার এই নির্দেশ মানতে পারেনি। সরকারের তরফ থেকে রাজস্থান হাই কোর্টে আপিল করা হয়। সেই কারণেই হাই কোর্টের তরফে সইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রের, নীলম কোঠারি, তাব্বুকে নোটিস পাঠানো হয়েছে এর আগেও।
অক্টোবর, ১৯৯৮। চলছিল ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং। যোধপুরে সেই শুটিং চলাকালীনই কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। একই দায়ে পড়েন সইফ আলি খান, টাবু, নীলম-সহ একাধিক তারকা। প্রায় কুড়ি বছর আগের ঘটনা। বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ এই হরিণকে সন্তানস্নেহেই পালন করেন, রক্ষাও করেন। অভিযোগ, শুটিং চলাকালীন নিজেই গাড়ি চালিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলেন সলমন। সেই গাড়িতে ছিলেন টাবু, সইফ, সোনালি বেন্দ্রেরাও। গাড়ির মধ্যে থেকেই গুলি করে হরিণ হত্যা করেন সলমন। গুলির আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত হরিণটিকে পড়েও থাকতে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি যে জিপসি গাড়িটি সলমন চালাচ্ছিলেন সেটিও দেখতে পান। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন তাঁরা। কিন্তু গতি বাড়িয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান তারকারা। এরপরই সলমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলা রুজু হয়। মামলায় একমাত্র দোষী সাব্যস্ত হন সলমন খান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.