ইন্দ্রনীল রায়: জল্পনার অবসান, সাত পাকে বাঁধা পড়লেন সৃজিত-মিথিলা। অনেক দিন থেকেই পদ্মাপারের প্রেমিকাকে নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এই দিন বিয়ে সারেন তো সে দিন। অবশেষে আজ শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘ছবির রিলিজ’ সেরে ফেললেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই মুখুজ্জ্যেবাবুর ‘মিসেস’-এর তকমাটা পেতে চেয়েছিলেন। তবে সৃজিতের মন গিয়েছে পদ্মাপারের মিথিলার কাছে। ৬ ডিসেম্বর গোধূলি লগ্নে দক্ষিণ কলকাতার এক ফ্ল্যাটে ‘গুমনামী’ ব্যাচেলর অবশেষে সামনে এলেন বর বেশে। অনেক হৃদয় ভেঙে রেজিস্ট্রি সারলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী ও বিআরএসি’র উচ্চপদস্থ আধিকারিক রাফিয়াৎ রশিদ মিথিলার সঙ্গে। এদিন সৃজিতের পরনে ছিল কালো পাঞ্জাবীর সঙ্গে লাল জহর কোট। অন্যদিকে, নবপরিণীতা মিথিলা সেজেছিলেন লাল শাড়িতে। সঙ্গে মানানসই ভারী ট্র্যাডিশনাল গয়না। গোধূলি লগ্নে তখন দু’জনের মুখেই হাসি।
গত ন’বছর কলকাতার সেরা ব্যাচেলরদের লিস্টে সৃজিতের নাম বরাবরই সবার ওপরে থাকত। তবে শুক্রবার সন্ধেবেলার পর থেকে সেই তালিকা থেকে সরে গেল তাঁর নাম।
রিসেপশনের ব্যাপারে বর-কনে দু’জনেই মুখে কুলুপ আঁটলেও জানা গিয়েছে, রেজিস্ট্রির পর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে একটা ছোট পার্টি অ্যারেঞ্জ করেছেন নবদম্পতি। সেই পার্টিতে খাবারের মেনু নিয়ে কেউ কিছু না বললেও, পদ্মার ইলিশ যে থাকছেই, সে বিষয়ে দম্পতির ঘনিষ্ঠমহল নিশ্চিত।
তা কবে থেকে তাঁদের এই প্রেমকাহিনি শুরু? সৃজিতের নিজের কথায়, গত বছরের শেষ দিক থেকে তাঁর সঙ্গে মিথিলার আলাপ। তারপর এ বছর ১৭ মার্চ সল্টলেকের অভিজাত হোটেলে এক মিডিয়া কর্তার জন্মদিনের পার্টিতে তাঁদের দু’জনকে প্রথম প্রকাশ্যে দেখা যায়।
ছবি সৌজন্যে: ইন্দ্রনীল রায়
তার ২৬৪ দিন পর, সারা জীবন একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছেন সৃজিত-মিথিলা। এই ক’মাসে সৃজিত-মিথিলার বিয়ে নিয়ে কম জল্পনা হয়নি। প্রায় প্রত্যেক মাসেই নতুন নতুন বিয়ের তারিখ নিয়ে জল্পনা চলত। নানা গুজবে ভিত্তি করে খবর বেরোত। সব আলোচনার অবসান ঘটিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা পরিচালক আজ থেকে ‘টেকেন’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.