সুপর্ণা মজুমদার: স্পাই থ্রিলার বলিউডে নতুন নয়। তা নিয়ে নানা টেস্ট অ্যান্ড ট্রায়াল হয়েছে এবং হবেও। এই তালিকায় খুব একটা উপরের সারিতে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও রশ্মিকা মন্দানা অভিনীত ‘মিশন মজনু’কে রাখা গেল না। যা টানটান উত্তেজনার ছবি হওয়ার কথা ছিল, তা অযথা আবেগের চর্বিতচর্বণ হয়ে রয়ে গেল।
কাহিনি সাতের দশকের প্রেক্ষাপটে সাজিয়েছেন পরিচালক শান্তনু বাগচী। বাস্তব ঘটনাই পরিচালকের অনুপ্রেরণা। পোখরানে ভারতের প্রথম পারমাণবিক শক্তি পরীক্ষা দৃশ্য দেখিয়ে সিনেমা শুরু হয়। তার জেরেই আবার পাকিস্তান গোপনে পারমাণবিক শক্তি পরীক্ষার তোড়জোড় শুরু করে দেয়। আর এই গোপন কথাটি ফাঁস করার দায়িত্বই দেওয়া হয় RAW এজেন্ট অমনদীপ অজিতপাল সিংকে। যে কিনা তারিক হুসেন (সিদ্ধার্থ মালহোত্রা) নাম নিয়ে বহুদিন ধরে পাকিস্তানে বাস করছে। সেখানকার দৃষ্টিহীন তরুণী নাসরিনকে (রশ্মিকা মন্দানা) বিয়েও করেছে। নিজের এই মিশনে তারিক পায় আরও দুই RAW এজেন্ট আসলম উসমানিয়া (সারিব হাশমি) ও রমন সিং তথা মৌলবি সাব (কুমুদ মিশ্র)।
ছবির ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই আলিয়া ভাট অভিনীত ‘রাজি’ সিনেমার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। কিন্তু রাজির ধারে কাছে এ ‘মিশন মজনু’ (Mission Majnu) পৌঁছতে পারেনি। অথচ সিনেমা বিষয়বস্তু বেশ ভাল ছিল। যা দিয়ে টানটান উত্তেজনার একটি থ্রিলার তৈরি করা যেতে পারত। তার বদলে যেন এ ছবি দেশভক্তির বিজ্ঞাপন হয়ে গিয়েছে।
গোটা ছবিই সিদ্ধার্থ মালহোত্রার (Sidharth Malhotra) চরিত্রকে কেন্দ্র করে। কিন্তু ‘শেরশাহ’র পুনরাবৃত্তি এ সিনেমায় করতে পারলেন না অভিনেতা। ছবির একটি জায়গায় তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে ভাষণ দেখতে বড্ড একঘেয়ে লাগে। রশ্মিকা মন্দানার এ ছবি সিদ্ধার্থের চরিত্রে স্ত্রী ও প্রেমিকা হওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। পার্শ্ব চরিত্র হিসেবে কুমুদ মিশ্র ও শারিব হাসমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। সবমিলিয়ে বলতে গেলে, নেটফ্লিক্সের বদলে সিনেমা হলে ‘মিশন মজনু’ মুক্তি পেলে তা হয়তো খুব একটা সাফল্য পেত না।
[আরও পড়ুন: ‘RRR’ দেখে মুগ্ধ, পরিচালক রাজামৌলিকে হলিউডে ছবি তৈরির প্রস্তাব জেমস ক্যামেরনের!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.