সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের (R G Kar Death) অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গোটা দেশের চিকিৎসকদের প্রতিবাদ। আমনজনতা থেকে সেলেব, সোশাল মিডিয়াজুড়ে সোচ্চার সকলে। নিন্দার ঝড়। এবার সেই আবহেই ফের একবার প্রতিবাদী কবিতা নিয়ে হাজির রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। রাজ্যের শাসকদলের বিরোধী শিবিরের নেতা হিসেবে আর জি কর কাণ্ডে অভিনেতা এবার কাঠগড়ায় তুললেন প্রশাসনকে।
আর জি করের তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত নিজমুখে দায় স্বীকার করলেও এই ইস্যু নিত্যদিন নতুন মোড় নিচ্ছে! জলঘোলাও কম হচ্ছে না। এবার কবিতা পাঠে শাসক শিবিরকে খোঁচা রুদ্রনীলের। নেটপাড়া যখন আর জি কর কাণ্ডের অভিযুক্তর গ্রেপ্তারিকে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা’ বলে মনে করছে, তখন রুদ্রনীল ঘোষ তাঁর ‘স্টেথোস্কোপ’ শীর্ষক কবিতায় প্রশ্ন তোলেন গোটা ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে। তাঁর মন্তব্য, “শরীর জুড়ে হাজার ক্ষত, মেয়েটা গেল মরে। খুবলে খেল শরীরটাকে ভাঙল গলার হাড়, অসুর দলে কে কে ছিল জমাট অন্ধকার।” অতঃপর তরুণী ডাক্তারের এহেন নির্মম পরিণতির নেপথ্যে যে একাধিক মানুষ জড়িত, সেই দিকেই ইঙ্গিত করলেন তিনি। কবিতার ভাষাতেই বললেন, “তড়িঘড়ি হল ধরা একটা সিভিক পুলিশ, এই অপরাধ একার যে নয় যতই বানাও ফুলিশ।”
প্রসঙ্গত, ঘটনার তদন্তে নেমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও জানিয়েছিলেন যে, সঞ্জয়ের একার পক্ষে একাজ করা কিছুতেই সম্ভব নয়। অতঃপর, এর নেপথ্যে আর কি কেউ জড়িত ছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এসবের মাঝেই এক ভাইরাল এক অডিও ক্লিপ অন্য মোড় দিয়েছে ঘটনাকে। কবিতার মধ্য দিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর অপরাধীকে ফাঁসিতে ঝোলানোর আবেদন নিয়েও আক্রমণ ছুঁড়েছেন রুদ্রনীল। শুরুতে কার নির্দেশে এই ঘটনাকে ‘আত্মহত্যা’ বলে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল? প্রশ্ন তোলেন নেতা-অভিনেতা। এমনকী, ধনঞ্জয়ের ফাঁসি প্রসঙ্গ টেনে এনেও ‘ষড়যন্ত্রের’ ইঙ্গিত দিলেন রুদ্রনীল। কবিতার ভাষাতেই তাঁর মন্তব্য, “মন্ত্রী-পুলিশ দিশেহারা অজুহাতের শেষ, মানুষ যদি খেপে ওঠে যেমন বাংলাদেশ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.