সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ ভাইরাসের সম্মুখীন হয়ে দিনরাত প্রাণপাত করে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়ে যাচ্ছেন জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। COVID-19 মোকাবিলায় যেভাবে চিকিৎসকদের পাশাপাশি পুলিশেরাও ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তা সত্যিই সাধুবাদ জানানোর মতো। গোটা দেশবাসী যখন হোম কোয়ারেন্টাইনে। তখন ওঁদের কিন্তু ছুটি নেই! পরিবার পরিজন ছেড়ে সদা কর্তব্যে অবিচল ওঁরা। দেশের সেবায়, দশের স্বার্থে যাঁরা এভাবে লড়ে যাচ্ছেন, তাঁদেরকেই কিনা হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের হাতে! এই দুঃসময়ে দেশজুড়ে পুলিশের উপর আক্রমণের যে একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসে চলেছে একের পর এক, তার প্রতিবাদেই এবার গর্জে উঠলেন সলমন খান।
“সত্যিই কী অদ্ভুত না! ডাক্তার-নার্সরা আপনাদের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রাণপাত করে চেষ্টা করে চলেছেন, আর আপনারা ওঁদের উপর পাথর ছুঁড়ছেন। এরই মাঝে করোনা সংক্রামিত ব্যক্তিরাও হাসপাতাল থেকে পালাচ্ছেন। আরে পালিয়ে বাঁচবেন কোথায়? যদি চিকিৎসকরা অই কঠিন পরিস্থিতিতে এগিয়ে না আসতেন, কিংবা পুলিশরা রাস্তায় না নামতেন, তাহলে ওই কয়েকটা লোকের জন্য দেশের অর্ধেক লোক সংক্রামিত হয়ে মরতে পারত” পাশাপাশি লকডাউনের নিয়ম লঙ্ঘন করে বাইরে বেরনো ব্যক্তিদেরও তীব্র ভর্ৎসনা করে ‘জোকার’ বলে আখ্যা দেন ভাইজান।
“দেশের জনসংখ্যা কমাতে চাইলে বাইরে বেরতেই পারেন!”- সলমন খান
খানিক বিরক্ত হয়েই সলমনকে ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, “যাঁরা নিজেদের পরিবারকে মারতে চান, তাঁরা বাইরে বেরতেই পারেন! ভারতের বাড়ির লোকদের সঙ্গে জনসংখ্যা কমাতে চান, আর সেটা কি নিজের পরিবারের লোক মেরেই শুরু করবেন ? আপনি নিজে যদি এই লকডাউনের মাঝেও বন্ধুবান্ধব, রাস্তায় না বেরতেন, তাহলে পুলিশের লাঠিও আপনার গায়ে পড়ত না! আপনাদের কি মনে হয়, পুলিশদেরও এসব করতে খুব মজা লাগছে?”
সলমন আপাতত তাঁর পানভেলের ফার্মহাউসেই গৃহবন্দি রয়েছেন, সেখান থেকেই ১০ মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় সলমনকে জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের উপর হওয়া আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ করতে শোনা যায়। সদ্য উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশরা সাধারণ মানুষের হাতে আক্রমণের শিকার হয়েছেন। করোনা সংক্রামিত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে তাঁর বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য যাওয়ায় তাঁদের উপর পাথর ছুঁড়ে আক্রমণ করা হয়। এছাড়াও, দিন কয়েক আগেই পঞ্জাবের পাতিয়ালায় কর্তব্যরত এক পুলিশের হাত কেটে নেওয়া হয়েছে। লকডাউনের মাঝেও কেন গাড়ি নিয়ে বের হয়েছে, তার প্রতিবাদ করাতেই কর্তব্যরত পুলিশের হাত কেটে নেয় সেই গাড়ির চালক। এছাড়াও ভোপাল, কটক, আহমেদাবাদের মতো একাধিক জায়গায় পুলিশেরা গনপিটুনির শিকার হয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরাও দেশের বিভিন্ন জায়গায় হেনস্তার শিকার হচ্ছেন।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত, তবলিঘি জামাতকে কেন্দ্র করে দেশে ফের সম্প্রীতির মনোভাব বিঘ্নিত হওয়ায় এমতাবস্থায় হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির বার্তা দিতে একটি ছবি শেয়ার করেছেন সলমন। যেখানে এক বিল্ডিংয়ের দুটি ফ্লোরের দুই বারান্দায় একজনকে মুসলিমকে দেখা গিয়েছে নমাজ পড়তে। অন্য বারান্দায় একজনকে হিন্দুকে দেখা গেল এই কঠিন পরিস্থিতিতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনারত অবস্থায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.