সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স ষাট ছুঁইছুঁই। ব্যাচেলর ভাইজান। সিনেমা আর পরিবার নিয়েই তাঁর জীবন। কর্তার মতোই সবদিকে কড়া নজর তাঁর। শুটিং, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সামাল দেওয়া থেকে ছবির প্রোমোশন, সবটা নিয়ে শশব্যস্ত থাকেন। কিন্তু তার মাঝেই নাকি সলমন খানের নতুন শখ হয়েছে রান্না করা। নিত্যদিন ক্লান্ত শরীরেও হেঁশেলে ঢুকে হাতা-খুন্তি নাড়ছেন। বানিয়ে ফেলছেন রকমারি সব পদ। আর ভাইজানের রান্না করার সেসব খাবার খেয়েই নাকি তাজ্জব হয়ে যাচ্ছেন পরিবারের সকলে। ব্যাপারটা কী?
একঘেয়ে খাবার নাকি কিছুতেই মুখে রুচছে না সলমনের। পোলাও-বিরিয়ানি দূরঅস্ত, রোজকার রাজমা-চাওলেও অরুচি ধরেছে তাঁর! তাই স্বাদ বদলাতে নিজেই ঢুকে পড়ছেন রান্নাঘরে। এমনকী বাড়ির রাঁধুনিদেরও নাকি কড়া নির্দেশিকা দিয়ে ফেলেছেন, তাঁরা যেন ওই একঘেয়ে পদ না রাঁধেন। অগত্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজেই রোজ কাজ থেকে ফিরে রান্না করতে লেগে পড়ছেন। কখনও আচার দিয়ে স্যালাড আবার কখনও বা রকমারি ডালের সঙ্গে মাংস-সহযোগে হালিমের মতো পদ বানাচ্ছেন। সলমনের নাকি এখন ‘ফিউশন ফুড’ বড় প্রিয় হয়ে উঠেছে। আর সেইজন্যই সবজিপাতি, মাংস দিয়ে রকমারি এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছেন। এক সাক্ষাৎকারে ভগ্নিপতি আয়ুষ শর্মাই সেকথা ফাঁস করেছেন।
আয়ুষের কথায়, ভাইজান দিনে দিনে ভালো শেফ হয়ে উঠছেন। কম সময়ে কীভাবে একটি পদের সঙ্গে অন্য পদ মিশিয়ে মশলা দিয়ে কষিয়ে অন্য স্বাদ আনা যায়? হেঁশেলে সেসব আবিষ্কার চলছে সলমনের। আর সেসব বাহারি ফিউশন পদের নামও সাধ করে রেখেছেন ‘মিকচার’। শুধু তাই নয়, ফ্রিজে থাকা বাড়তি কিংবা বাসি খাবারও ফেলে না দিয়ে সেগুলোকে নিত্যনতুন স্বাদে সকলের পাতে পরিবেশন করছেন। খেতেও বেশ সুস্বাদু হচ্ছে সেগুলো। ভগ্নিরপতির কথাতেই ঠাহর করা গেল যে, বিয়ে না করলেও সলমন বেশ সংসারী হয়ে উঠেছেন।
সলমনের রান্না করা সেই মিকচার ঠিক কেমন? আয়ুষ জানালেন, কোনও খাবার আসলে নষ্ট করা নাপসন্দ সলমনের। আর স্বাদ পছন্দ না হলে একটি পদের সঙ্গে অন্য পদ মিশিয়ে স্বাদবদলের চেষ্টা করেন। এই যেমন কড়কড়ে ঢেড়শ ভাজার সঙ্গে আমের আচার মিশিয়ে দেন। সলমনের হাতে তৈরি চিকেন-মাটনের মিকচার নাকি বাড়ির সবার খুব পছন্দের। কীরকম এই রান্না? জানা গেল, চিকেনের সঙ্গে মাটনের ছোট ছোট টুকরো মিশিয়ে রকমারি ডাল আর মরশুমি সবজি দিয়ে সেই মিকচার পদটি তৈরি করছেন তিনি। মশলাও নিজেই বানান। স্বাস্থের কথা মাথায় রেখে আবার কম তেল দেন রান্নায়। তবে সলমনের এই রাঁধুনি অবতার কতদিন থাকবে? সেটা নিয়ে সন্দিহান বাড়ির লোকেরা। কারণ ভাইজানের মেজাজ বোঝা দায়। যখন যেমন ইচ্ছে তেমনটাই করেন। খাবারের ক্ষেত্রেও রুচি বদলায় তাঁর। এক পদ রোজ খান না। কাজেই নিজেই হেঁশেল যুদ্ধে নেমে পড়েন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.