সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশি হেফাজতেই আত্মঘাতী সলমন খানের (Salman Khan) ‘গ্যালাক্সি’তে গুলিবর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত অনুজ থাপান। পয়লা মে অভিযুক্ত কারাগারের মধ্যেই আত্মহত্যা করেছে, বলে জানিয়েছিল মুম্বই পুলিশ। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মৃতের মা পালটা আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন সিবিআই তদন্ত চেয়ে। তার ভিত্তিতেই এবার সলমন বম্বে হাই কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, ওই পিটিশন থেকে যেন তাঁর নাম সরিয়ে নেওয়া হয়।
২২ মে, বুধবার বম্বে উচ্চ আদালতের কাছে অনুজ থাপনের মায়ের দাখিল করা পিটিশন থেকে নিজের নাম তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বলিউড সুপারস্টার। যে পিটিশনে, মৃতের মা জেলের ভিতর ছেলের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। এপ্রসঙ্গে সলমনের তরফে সিনিয়র কাউন্সেল আবাদ পোন্ডা আদালতের কাছে জানিয়েছেন, “অভিনেতা নিজেই এখানে হামলার শিকার। কেউ সলমনের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। সলমন নিজেও জানেন না, এই ঘটনার নেপথ্যে ঠিক কারা রয়েছে? আর কাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই ওই পিটিশনের সঙ্গে সলমন খানের নাম জুড়লে ভুল বার্তা দেওয়া হবে। ওঁর মানহানিও হবে।”
গত ১৪ এপ্রিল কাকভোরে সলমন খানের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে হামলা চালায় দুই ব্যক্তি। বিষ্ণোই গ্যাং সেই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারপর জল গড়িয়ে বহুদূর। নিত্যদিন একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। পাঞ্জাব থেকে মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় অনুজ থাপন ও সুভাষ নামে দুই ব্যক্তি। এরা শ্যুটারদের বন্দুক জোগান দিয়েছিল বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, দুজনেরই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। সেই অনুজই গত পয়লা মে হাজতে আত্মঘাতী হয়েছে, বলে জানিয়েছিল মুম্বই পুলিশ। ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে তার মা পালটা আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, সলমনের বাংলোয় হামলার ঘটনার পরই গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে খোদ। শুধু তাই নয়! ভাইজানকে খুনের হুমকি দেওয়া বিষ্ণোই গ্যাংকেও খতম করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। তারপর থেকেই সংশ্লিষ্ট মামলায় আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে মুম্বই পুলিশ। তবে সলমন কিন্তু ‘বেফিকর’। বুক ফুলিয়ে কাজে যাচ্ছেন সর্বত্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.