Advertisement
Advertisement
Sara Ali Khan

কামাখ্যায় ধ্যানমগ্ন সারা আলি খান, ‘রহস্যময় পুরুষে’র সঙ্গে পুজোও দিলেন নবাবকন্যা

পুজো দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের বুকে নৌকবিহার করলেন অভিনেত্রী।

Sara Ali Khan offers prayers at Guwahati's Kamakhya Temple
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:April 5, 2025 2:26 pm
  • Updated:April 5, 2025 4:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও বেনারস, কখনও কেদারনাথ আবার কখনও বা উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দির থেকে সিদ্ধি বিনায়ক, অবসর পেলেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মন্দিরে ছুটে যান সারা আলি খান। আর এবার নবাবকন্যা পৌঁছে গেলেন অসমের কামাখ্যা মন্দিরে। বছর চারেক আগেও এবার কামাখ্যাদর্শন করেছিলেন সারা। তবে এবার নায়িকার ফ্রেমে নজর কাড়ল এক ‘রহস্যময় পুরুষ’। সেখান থেকেই জল্পনার সূত্রপাত, নতুন করে প্রেমে পড়েছেন সারা আলি খান (Sara Ali Khan)?

নবাব পরিবারের মেয়ে হয়েও গণেশ চতুর্থী থেকে দিওয়ালি, শিবরাত্রি.. সব উৎসবেই শামিল হন সারা আলি খান। কাশীর বিশ্বনাথ থেকে কেদারনাথ, উজ্জিয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দির একাধিক তীর্থক্ষেত্র চষে ফেলেছেন সারা। তার জন্য অবশ্য কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি নবাবকন্যাকে। তবে দমে যাওয়ার পাত্রী নন তিনি। এর আগে কটাক্ষের শিকার হয়ে তিনি বলেছিলেন, “সব ধর্মকেই আমি সমানভাবে সম্মান করতে শিখেছি।” এবার কামাখ্যায় পুজো দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের বুকে নৌকবিহার উপভোগ করার ছবি দেখালেন নবাবকন্যা। সেখানেই একছবিতে কামাখ্যায় ধ্যানমগ্ন দেখা গেল সারা আলি খানকে (Sara Ali Khan)।

Advertisement

পরনে সাদা শিফনের সালোয়ার। সিঁদুরে রাঙা ললাট। একমনে ধ্যান করতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। পুজোর পর নৌকা চড়ে ভেসে বেড়ালেন ব্রহ্মপুত্রের বুকে। তবে সেই গুচ্ছখানেক ছবির মধ্যে একটি ফ্রেম নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। যেখানে কামাখ্যার নিয়মমাফিক পুজো দেওয়ার পর সিঁদুরেমাখা মূর্তিতে কাঁচাপয়সা দেওয়ার রীতি রয়েছে। সেখানেই সারার পাশে দেখা গেল এক রহস্যময় পুরুষকে। যিনি পুজোর লাল উত্তরীয় গলায় জড়িয়ে অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েই আশীর্বাদ নিলেন। সারা নিজেই শেয়ার করেছেন সেই ছবি। স্বাভাবিকভাবেই অনুরাগীরা কৌতূহলী, তাঁর পরিচয় নিয়ে। কেউ বা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, ‘কার প্রেমে পড়লেন নবাবকন্যা?’

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Sara Ali Khan (@saraalikhan95)

সম্প্রতি টাইমস নাও সামিট ২০২৫-এ যোগ দিয়ে সইফকন্যা জানিয়েছিলেন, ছোট থেকেই মা অমৃতা সিং তাঁকে শিখিয়েছেন তাঁর পরিচয় সবার আগে ভারতীয়। সারার মন্তব্য, “আমি তখন স্কুলে পড়ি। মা-বাবার সঙ্গে বিদেশে থাকতাম। তখন বারবার আমার মনে হত, অমৃতা সিং, সইফ পতৌদি, সারা সুলতানা, ইব্রাহিম আলি খান… এরকম ভিন্ন ভিন্ন পদবী কেন? আখেড়ে হচ্ছেটা কী? আমি কে বা আমার পরিচয়ই বা কী? একদিন মাকে জিজ্ঞেস করলাম, আমি আদতে কে? মা যে কথাটা বলেছিলেন, কোনওদিন ভুলব না। উনি বললেন- তুমি ভারতীয়।” ওই অনুষ্ঠানেই সারা জানান, “আমাদের ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। আর আমার মনে হয়, এই সমস্ত বিভাজন নীতি সবটাই মানুষের তৈরি। আমি এগুলো মানি না। এতটা গুরুত্বই দিই না, অন্য কেউ হয়তো দেয়। অন্যদের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করা মূর্খের মতো কাজ হবে। তাই আমি নিজের শর্তে চলি। আমার কেদারনাথ যাত্রা নিয়ে যাঁদের এত সমস্যা তাঁদের সকলের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, এটা তো আমার ব্যক্তিগত বিষয়। আমি যেখানে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, আমি যেখানে শান্তি পাই, সেখানই যাই। আর কেদারনাথে গিয়ে আমার খুব আনন্দ হয়।” এহেন বার্তায় সারা আলি খান যে ধর্মের গোঁড়ামির বাইরে বেরিয়ে নয়া প্রজন্মের কাছে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, তা বলাই বাহুল্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement