সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ জালিয়ানওয়ালাবাগ’ দেখে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন শশী থারুর। কংগ্রেস সাংসদ মুগ্ধ হয়েছেন ছবিটির নির্মাণ ও কলাকুশলীদের কাজ দেখে। কিন্তু একটি বিষয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে। তা হল ছবিতে আইনজীবী সি শংকরণ নায়ারের ভূমিকায় অক্ষয়ের মুখের সংলাপ!
ছবি দেখে বেরিয়ে শশীকে বলতে শোনা যায়, ”আমার মতে এটা অত্যন্ত সুনির্মিত ছবি। যদিও ঐতিহাসিক সত্য থেকে একটু সরে আসার স্বাধীনতা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা ছবির শুরুতেই বলাও রয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এটা আদতে ফিকশন। কিন্তু ছবিতে রয়েছে প্রতিরোধের চেতনা। ছবিতে যে বার্তা দিতে চাওয়া হয়েছে সেটাকে দারুণ ভাবে তুলে ধরা গিয়েছে।”
ছবিতে অক্ষয়ের মুখে সংলাপ নিয়ে বিতর্ক কিন্তু শুরু থেকেই ছিল। ছবির টিজারেই আইনজীবীর মুখে ‘গালিগালাজ’ শুনে ভ্রু আন্দোলিত হয়েছিল নেটপাড়ার অনেকের। প্রশ্ন উঠেছিল, ‘সভ্য পেশায় একজন দায়িত্ববান ভারতীয় নাগরিকের মুখে এহেন কুৎসিত শব্দ কী মানায়?’ ‘নৈতিক দায়িত্ববোধে’র প্রসঙ্গ তুলে অনেকেই রে রে করে উঠেছিলেন! ট্রেলার লঞ্চের দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অভিনেতাকে। পালটা জবাব দিতেও অবশ্য ছাড়েননি অক্ষয়। সোজাসাপটা ওই সাংবাদিকের উদ্দেশে বলেন, “হ্যাঁ, আমি এমন শব্দই ব্যবহার করেছি। তবে মজার বিষয় হল, ইংরেজরা যখন ওই দৃশ্যে ভারতীয়দের ‘ক্রীতদাস’ বলে অপমান করল, সেটা কারও নজরে পড়েনি। ‘ক্রীতদাস’ শব্দটি তো আরও অপমানজনক। আমার মনে হয়, এর থেকে বড় অপমান আর কিছুই হতে পারে না।”
ঠিক কোন বিষয়ে আপত্তি শশীর? সেবিষয়ে বলতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা জানাচ্ছেন, ”উনি এমন একজন মানুষ (সি শংকরণ নায়ার) ছিলেন যিনি ছিলেন সাহসী, নীতিনিষ্ঠ ও সৎ। উনি কখনওই সেই শব্দ ব্যবহার করেননি, যেটা ছবিতে অক্ষয়ের মুখে শোনা গিয়েছে। বিশেষ করে এক চার অক্ষরের শব্দ। ওটা ওঁর মুখ থেকে কখনওই বেরত না। এটা আমি হলফ করে বলতে পারি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.