সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কন্নড় বিতর্কে ক্রমশ কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে সোনু নিগমকে। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এফআইআর-ও রুজু হয়েছে। এই আবহে এবার মুখ খুলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সোনু।
সোশাল মিডিয়ায় শনিবার সন্ধেয় একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেন গায়ক। তার ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘জাস্ট লাভ’। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘শুধু ভালোবাসা’। ভিডিও বার্তায় গায়ককে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমি যখন প্রথম গান গাইতে শুরু করি তখনই চার-পাঁচজন ছাত্র কন্নড় গান গাওয়ার জন্য কার্যত হুমকি দিতে থাকে। দর্শকাসনে থাকা অনেকেই তাদের থামানোর চেষ্টা করছিল। সে কারণে ওই চার-পাঁচজনকে আমার বোঝানোর প্রয়োজন ছিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা প্যান্ট খুলতে বলেছিল, কোন ভাষায় কথা বলে জিজ্ঞাসা করেনি। আমি কন্নড়দের ভালোবাসি। তাঁরা সত্যিই খুব সুন্দর এবং মিষ্টি। তাঁদের আমার হৃদয়ের খুব কাছে। সুতরাং দয়া করে সকলকে মিশিয়ে ফেলবেন না। শুধুমাত্র চার-পাঁচজন ছেলের প্রতি আমি রেগে গিয়েছিলাম। সর্বত্র এমন লোকজন থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “দর্শক হিসাবে তাদের আমাকে হুমকি দেওয়ার কোনও অধিকার নেই। অন্যান্যরা ভালোবেসে এখানে এসেছে। আমার কন্নড় গানে প্রায় ঘণ্টাখানেকের একটি অ্যালবাম আছে। যারা উসকানি দেয় তাদের সেই মুহূর্তে রোখা প্রয়োজন। ভালোবাসার দুনিয়ায় যারা ঘৃণার বীজ পুঁতছে, তাদের রোখা প্রয়োজন। নইলে একদিন বিষবৃক্ষ কাটতে হবে।”
View this post on Instagram
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল বেঙ্গালুরুর বীরগোনগরের ইস্ট পয়েন্ট ই়ঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে গিয়েছিলেন সোনু। সেখানেই জনৈক ছাত্র তাঁকে কন্নড় ভাষায় গান গাইতে বলে রীতিমতো দুর্ব্যবহার করে। দর্শকাসন থেকে আচমকা উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলে, কন্নড় ভাষায় গান করুন। সোনুর দাবি, ওই ছাত্রের আচরণ মোটেও ভালো ছিল না। দেখে রীতিমতো রেগে যান গায়ক। পালটা দিতে গিয়ে সাম্প্রতিক পহেলগাঁও সন্ত্রাসের উদাহরণ দেখিয়ে বলেন, “এমন অসহিষ্ণু মনোভাবের জন্যই পহেলগাঁওয়ে হামলা হয়েছে।” সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল। সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় তাঁকে নিয়ে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে ‘উসকানিমূলক মন্তব্যে’র অভিযোগে সোনু নিগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। আর তারপরই নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন গায়ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.