ছবি সংগৃহীত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “বাবা মনসুর আলি খান পাতৌদি তারকা ক্রিকেটার ছিলেন। কিন্তু ১৯৬০-এ আইপিএল ছিল না। ছিল না বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জনের সুযোগও। বাবা ভালবেসে ক্রিকেট খেলতেন। অর্থ উপার্জন হত না ক্রিকেট থেকে। তাই মা শর্মিলা ঠাকুরকেই আমাদের সাংসার চালানোর দায়িত্ব নিতে হয়েছিল।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এভাবেই আক্ষেপ ঝরে পড়ল পাতৌদি-শর্মিলা কন্যা সোহা আলি খানের কন্ঠে।কিন্তু কী কারণে এমন জবাব শোনা গেল তাঁর গলায়?
সম্প্রতি নিজের আগামী ছবি ‘ছোরি ২’-এর প্রচারে গিয়েছিলেন সোহা। সেখানেই অভিনেত্রীর কাছে তাঁর রোল মডেলের বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা। সোহা জবাবে বাবা মনসুর আলি খানের কথা বলেন। তাঁর কথায়, “আমার বাবার সঙ্গে মায়ের(শর্মিলা ঠাকুর) বিয়ে মাত্র ২৪ বছর বয়সে। সেই সময় বিয়ের পর এক মহিলার পক্ষে সংসার ,অভিনয় একই সঙ্গে চালিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন ছিল। তারপর বিয়ের দুবছরের মধ্যেই মায়ের প্রথম সন্তান হয়। সবটা সামলে কাজ চালানো কঠিন ছিল। কিন্তু সংসার চালানোর জন্য মাকে সেইসময় কাজ চালিয়ে যেতে হয়।”
এর পাশাপাশি অভিনেত্রী যোগ করেন, “আমার বাবা চিরকালই মনের আনন্দে ক্রিকেট খেলতেন। তার থেকে অর্থ উপার্জন হত না। এরপর যখন আমি জন্মাই তখন বাবা ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। আপনারা হয়তো বিশ্বাস করবেন না সেই সময় আমাদের সংসারে যথেষ্ট অর্থকষ্ট ছিল। মাই একমাত্র উপার্জনকারি সদস্য ছিলেন। তাই মাকেই সংসারের দায়িত্ব নিতে হয়। এত অসুবিধার মধ্যেও বাবা সবসময় মাকে বলতেন, তোমার যা করতে ভালো লাগবে সেটাই করবে। আর বাবার এই গুণটাই আমার সবচেয়ে পছন্দের ছিল। তাই বাবাকে সারাজীবন রোল মডেল মানব। আর মাকে তো সারাজীবন দেখছি, তিনি কাজ করে চলেছেন। তাঁদের দেখেই নিজের জীবনের চলার পথ ঠিক করেছি।” উল্লেখ্য ১১ এপ্রিল বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে শর্মিলা অভিনীত ‘পুরাতন’ ছবিটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.