শম্পালী মৌলিক: সমস্ত জল্পনার অবসান। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার ও গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই চারহাত এক হবে।
গত বর্ষায় প্রথম আলাপ হয়েছিল অভিনেত্রী সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar) এবং গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের (Shovan Ganguly)। যিশু সেনগুপ্তর তত্ত্বাবধানে এক রবীন্দ্রসন্ধ্যা উদযাপনের অজুহাতে। অজুহাতই বলা ভালো। বছর ঘুরে বৃষ্টি নামতেই ১৫ জুলাই চার হাত এক হতে চলেছে দুই শিল্পীর। গত এক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনার অবশেষে ইতি। তাঁরা দুজনেই এই নিয়ে কথা বলতে চাননি। কিন্তু কলকাতা শহর সাক্ষী তাঁদের প্রেমের। প্রিয় ক্যাফে, অলি গলি, সোহিনীর জন্মদিনে বন্ধুদের গ্রুপ ছবিতে ঘনিষ্ঠতার আলতো আভাস, সোশাল মিডিয়াতে ভুল করে নিজেদের ছবি দিয়ে ফেলা, বরফ-ঢাকা বিদেশে ছুটি কাটাতে গিয়ে বাধ্য হয়ে দুজনের একা ছবি দেওয়া- অবচেতনে করে ফেলা এমন অনেক অনিচ্ছাকৃত স্বীকারোক্তি প্রেমের স্পষ্ট ছাপ ফেলে গেছে। তাঁরা যে সত্যি পরস্পরের সঙ্গেই আছেন এই বিশ্বাস ক্রমে দৃঢ় হয়েছে। এবার আর পিছু ফেরা নেই। এবং তাই সুইডেনের তুষারশুভ্র ব্যাকড্রপে দুজনের এক্সক্লুসিভ ছাপতে আর কোনও বাধা নেই।
‘ফড়িং’, ‘ভূমিকন্যা’, ‘সম্পূর্ণা’, ‘ব্যোমকেশ’, ‘মন্দার’, ‘অথৈ’ খ্যাত অভিনেত্রী সোহিনী তাঁর বিয়ের উদযাপনে কেমন আয়োজন করবেন সেই নিয়েও উৎসাহ থেকেই যায়। সুগায়ক শোভন কী কোনও নতুন গান উপহার দেবেন না তাঁর প্রিয়তমাকে? অপেক্ষার অবসান হবে ১৫ জুলাইয়ের পরেই। শোনা যাচ্ছে, আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের উপস্থিতিতে শহর থেকে দূরে কোথাও প্রাইভেট প্রপার্টিতে, রেজিস্ট্রি করে তাঁদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হবে। শুধু তাই নয়, বিয়ের আগের দিন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে পুল পার্টি করবেন শোভন-সোহিনী। খুব অল্প সংখ্যক আত্মীয়-স্বজন নিয়েই হবে বিয়ের একদিন বাদে হবে ঘরোয়া বউভাত।
আগে ‘পপকর্ন’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোহিনী জানিয়েছিলেন, তিনি খুব আড়ম্বর করে বিয়ের মূল অনুষ্ঠান করতে চান না। তাই ধরে নেওয়া যায়, ইন্ডাস্ট্রির একেবারে ঘনিষ্ঠ শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতিতেই এই অনুষ্ঠান হবে। তবে এই আসন্ন শীতকালেই জমজমাট রিসেপশনের আয়োজন করবেন শোঙন-সোহিনী। দুজনেই যেহেতু বাঙালি খাবার পছন্দ করেন। আন্দাজ করা যায় বিয়ের মেনু বাঙালি।
কনে সোহিনী কেমন সাজবেন? সেই কৌতূহল তো থাকেই। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শাড়িতেই বেশি স্বচ্ছন্দ সোহিনী। বিয়ের সাজেও সেই বাঙালিয়ানা থাকবে বলে ধরে নেওয়া যায়। বাঙালির বিয়ে মানেই তো বেনারসি বেশে বধূ এবং ধুতি পাঞ্জাবিতে বর। এর অন্যথা হবে বলে মনে করছে না ‘পপকর্ন’। তবে আয়োজন যেমনই হোক আসলে তো নিজেদের ভালবাসাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেওয়ার দিন। পরস্পরের হাতটা আরও শক্ত করে জড়িয়ে নেওয়ার দিন। এই বর্ষাপ্রিয় যুগলকে ‘পপকর্ন’-এর শুভেচ্ছা রইল। তাঁদের প্রেমে আজীবন থাকুক ইলশে গুঁড়ি জল-ফোঁটার আর্দ্রতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.