সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২৪ ঘণ্টায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। ডিফরেন্ট লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। শনিবার বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসক অরিন্দম কর।
এদিন ডা. কর জানান, তাঁদের মনে হচ্ছে প্রায় ৪০ দিনের লড়াই কোনও কাজে আসল না। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না বর্ষীয়ান অভিনেতা। একমাত্র অলৌকিক কিছু ঘটলেই এই অবস্থা থেকে তাঁর ফিরে আসা সম্ভব বলে মনে করছেন ডা. কর। ইতিমধ্যেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারকে পুরো বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তাঁরাও বিষয়টি মেনে নিচ্ছেন। তবে এখনও হাল ছাড়ছেন না চিকিৎসকরা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেই জানান।
বুধবার বর্ষীয়ান অভিনেতার ট্র্যাকিওস্টমি করা হয়েছিল। সফলভাবেই তা সম্পন্ন হয়েছিল। বৃহস্পতিবারই আবার তাঁর প্রথম পর্যায়ের প্লাজমাফেরেসিস (Plasmapheresis) সম্পন্ন হয়। আশা করা হয়েছিল প্লাজমাফেরেসিসের পর অভিনেতার আচ্ছন্নভাব ও অসংলগ্নতা অনেকটাই কেটে যাবে। কিন্তু শুক্রবার তার কিছুই হয়নি। উলটে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। ডা. কর জানান, এর আগে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চেতনাস্তর ৯ থেকে ১০-এর মধ্যে ছিল। তা পাঁচ পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। এই স্তর তিনে পৌঁছে গেলে ব্রেন ডেথ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। অভিনেতার কিডনির অবস্থাও খুবই খারাপ। কেন এমনটা হল, সেই সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে ডা. অরিন্দম করের কথায়, চিকিৎসক টিমের পক্ষ থেকে ‘বেস্ট পসিবল এফোর্ট’ দেওয়া হয়েছিল।
৬ অক্টোবর করোনা (CoronaVirus) আক্রান্ত হয়ে বেলভিউ হাসপাতালে ভরতি হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তারপর ১৪ অক্টোবর অভিনেতার কোভিড (COVID-19) রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু কোভিড এনসেফেলোপ্যাথির কারণে তাঁর স্নায়ুতে প্রভাব পড়ে। তারপর থেকেই অচেতন অবস্থায় ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। মাঝে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও আবারও গভীর সংকটে অভিনেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.