সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আগর ফিরদৌস বার রু-ই জমিন আস্ত, হামিন আস্ত-ও, হামিন আস্ত-ও, হামিন আস্ত…’, ভবিষ্যতে ভূস্বর্গে দাঁড়িয়ে হয়তো আমির খসরুর লেখা এই ফারসি পংক্তি আওড়াতে গিয়ে শিউড়ে উঠবেন পর্যটকরা! পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ভয়ানক সন্ত্রাসবাদের ঘটনার এই কালো স্মৃতি হয়তো চিরকাল তাড়া করে বেড়াবে গোটা দেশকে। পুলওয়ামার পর এত বড় সন্ত্রাসের ঘটনার সাক্ষী থাকেনি উপত্যকা। গত দু’ দশকে অন্যতম বড় জঙ্গিহামলা দেশবাসীর মনে যতটা কাঁপন ধরিয়েছে, ততটাই রাগ-বিদ্বেষের জন্ম দিয়েছে ‘ধর্মের ধ্বজাধারী দৈত্যদানো’দের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam) এহেন ভয়ঙ্কর ঘটনায় আমজনতার সঙ্গে ঘুম উড়েছে তারকাদেরও। বলিউডের পাশাপাশি প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন টলিপাড়ার সেলেবরাও।
বৈসরন উপত্যকায় যেভাবে পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে বেছে বেছে শুধু হিন্দু নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে, তাতে ক্ষোভের আগুনে ফুটছে গোটা দেশ। আর এহেন ফুটন্ত পরিস্থিতিতে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের প্রতিবাদ, “কিছু ভুল শুধরে নেওয়া প্রয়োজন। শুধু নির্দোষ নাগরিক নয়, বলুন নির্দোষ হিন্দু নাগরিক। নির্মম ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ, শুধু নির্মম সন্ত্রাসবাদ নয়!” পরিচালকের সুরেই নাট্যব্যক্তিত্ব তথা পরিচালক সৌরভ পালোধী বলছেন, “ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের হাতে হিন্দু পর্যটক খুন। না, আমার এটা বলতে কোনো আপত্তি নেই। আমি ধার্মিক নই, কিন্তু ধর্মের কারণে খুন হলে এটা বলতেও আমার আপত্তি নেই।” এরপরই মোদির শোকপ্রকাশের ধরনকে বিঁধে তাঁর সংযোজন, কিন্তু আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী বলছেন ‘those who’। কেন? হিন্দু খুন বলছেন না কেন? কারণ আমার দেশে হিন্দুরাও নিরাপদ নয়, সেটা রাষ্ট্র নিজেও জানে। কাশ্মীরে হিন্দু পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ যারা তারাই এই ঘটনায় ‘হিন্দু খুন’ লিখতে পারছে না। ঘটনাটা খুবই কষ্ট দিচ্ছে কাল থেকে। কিন্তু প্রশ্ন করতে শিখেছি তাই এই ঘটনা এত সরল ভাবে ভেবে নিতে পারছি না।”
শোকের ভারে কতিপয় শব্দে ফেসবুকে নিজের মত ব্যক্ত করলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। লিখলেন, “ভূস্বর্গ ভয়ংকর! অসহায় লাগে।” এমন অসহায়তার কথা ঝড়ে পড়ল অঙ্কুশ হাজরার শোকবার্তাতেও। অভিনেতার মন্তব্য, “শ্বাস নেওয়ার জন্য এবার একটু ভালো জায়গার প্রয়োজন। এতটা দমবন্ধ এর আগে কখনও লাগেনি। এটা মানবতার মৃত্যু।” ভারতীয় সেনাবাহিনির দরবারে পালটা মারের আর্জি রেখেছেন ইমন চক্রবর্তী। গায়িকার কথায়, “এই সন্ত্রাসবাদীদের ছেড়ে দেবেন না আপনারা।” এমন সুর সৌরভ দাসের কণ্ঠেও। অভিনেতা বলছেন, “জঙ্গিদের ধরুন আর মারুন।” সন্ত্রাস হামলায় (Terror Attack) প্রাণ হারানো দেশের নিরীহ নাগরিকদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ইনস্টা পোস্টে একবাক্যে লেখা- ‘হৃদয়বিদারক।’ দেবচন্দ্রিমার কণ্ঠেও সেই সুর! শিউড়ে ওঠা ঘটনায় অভিনেত্রীর মত, ‘কেন পহেলগাঁও (Pahalgam)? আমার মন ভেঙে গেল।’ এই ঘৃণ্য ঘটনায় ভারত সরকারকে কড়া জবাব দেওয়ার আর্জি কিঞ্জল নন্দর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.