সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিৎ আক্ষেপ করে বলেছিলেন, “এতবছর আমার কথা মুম্বইতে কেউ ভাবেননি!” তবে ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’ রিলিজের পরই বদলে গেল ছবি! সিরিজে বহুল প্রশংসিত হয়েছে জিতের অভিনয়। টলিউড সুপারস্টারের ডাকাবুকো বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে বলিপাড়ার অন্দরমহলেও নাকি চর্চার অন্ত নেই! খান কয়েক সিনেমার প্রস্তাবও এসেছে অভিনেতার ঝুলিতে। এবার খবর, এক হিন্দি ছবির নায়কের ভূমিকার অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব গিয়েছে জিতের কাছে।
টলিপাড়ার অনেক অভিনেতাই বর্তমানে মুম্বইতে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন। সেই তালিকায় যিশু সেনগুপ্ত, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকের নামই রয়েছে। এবার সম্ভবত সেই তালিকাতেই নবতম সংযোজন হতে চলেছেন জিৎ। এর আগে অবশ্য মুম্বইয়ে চুটিয়ে ‘চেঙ্গিজ’-এর প্রচার করেছিলেন। জাতীয় স্তরে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পেয়েছিল সেই ছবি। তবে সাড়া ফেলতে পারেনি। এবার গুঞ্জন, এক বলিউড ছবিতে দ্বিতীয় মুখ্য চরিত্রের প্রস্তাব গিয়েছে জিতের কাছে। এবার দেখার, টলিউড সুপারস্টার সেই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সায় দেন কিনা! তবে জিতের টিমের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি এখনও।
‘সাথী’র ‘বিজয়’ বর্তমানে টলিউডের ‘বস’। বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে বাইশটি বসন্ত পার করে ফেলেছেন জিৎ। ‘জোশ’, ‘আওয়ারা’, ‘শুভদৃষ্টি’, ‘দুই পৃথিবী’র মতো যেমন বাণিজ্যিক ছবি উপহার দিয়েছেন, তেমনই দর্শকরা তাঁকে দেখেছেন ‘অসুর’, ‘রাবণ’, ‘মানুষ’-এর মতো ছকভাঙা চরিত্রে। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুপারস্টার অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই প্রযোজকের ভূমিকাও সমানতালে সামাল দিচ্ছেন। তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারে ফ্লপ-এর সংখ্যাও হাতেগোনা! ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলের রাজনীতির সাতে-পাঁচে থাকেন না! বিতর্ক থেকে শতহস্ত দূরে নিজের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছেন টলিউডের ‘সুলতান’। হিন্দি সংস্করণে রাবণ সিনেমাটি জাতীয় স্তরে রিলিজ করেছিলেন বটে, তবে আক্ষরিক অর্থে নীরজ পাণ্ডের ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর সুবাদেই জিতের বলিউড অভিষেক ঘটল।
কেমন অভিজ্ঞতা প্রথমবার হিন্দি কোনও প্রজেক্টে কাজ করার? সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাছে এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন জিৎ। সুপারস্টারের মন্তব্য, “এত বছর ধরে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির কেউ আমার কথা ভাবেনি। তবে আমি বরাবরই এখানে কাজ করতে চাইতাম কারণ আমি আদতে হিন্দিভাষী। আঞ্চলিক সিনেইন্ডাস্ট্রিতে কমার্শিয়াল সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের ১০-১৫ বছর ধরে বিনোদিত করা অভিনেতাদের মধ্যে খুবই কমই রয়েছেন, যাঁরা ভালো করে হিন্দি বলতে পারেন। এটা আমার ইউএসপি, যা অন্যান্য অনেক আঞ্চলিক অভিনেতাদের নেই। বাংলায় কাজ করাটাই আমার জন্য আসল চ্যালেঞ্জ ছিল, কারণ আমি হিন্দিতে ভাবি।” হিন্দি ভাষী হলেও বাংলার দর্শকরা জিৎকে মনপ্রাণ ঢেলে আপন করে নিয়েছে। টলিউডে দু’ দশক কাটিয়ে তেইশ সালে অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন অভিনেতা। এবার শোনা যাচ্ছে, বলিউডের বড় প্রজেক্টের স্টার কাস্টে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন অভিনেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.