সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সলমন খানের (Salman Khan) বাড়িতে হামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বড় সাফল্য পেল পুলিশ। ভুজ থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ, এই দুজনই গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্ত। ধৃতদের নাম ভিকি গুপ্ত (২৪) ও সাগর পাল (২১)। দুজনকেই মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পয়লা বৈশাখে ভাইজানের বাড়িতে হামলার নেপথ্যে কে? এই প্রশ্নের উত্তরে বারবার গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইর নাম উঠে এসেছে। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই সুপারস্টারকে নিজের শত্রু হিসেবে মানে বিষ্ণোই। এর আগে একাধিকবার সলমন খানকে হুমকি দিয়েছে সে। শোনা যায়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জানতে পেরেছে বিষ্ণোইর হিট লিস্টে থাকা ১০ জনের মধ্যে সবার আগে সলমনের নাম রয়েছে।
এর আগে শোনা গিয়েছিল, মার্কিন মুলুকে বসেই এই গুলিবর্ষণের ছক কষা হয়েছিল। সেখানেই লরেন্স বিষ্ণোইর ভাই অনমোল বিষ্ণোই রোহিত গোদরাকে এই হামলার দায়িত্ব দেয়। এমনকী, বহু মাস আগে থেকে পুরো পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, বহু আগে থেকেই মুম্বইয়ে ঘাঁটি গেড়েছিল আততীয়ারা। ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় অনমোলের নামের একটি প্রোফাইলের পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, “এ তো শুধু ট্রেলার ছিল”। এই প্রোফাইলের আইপি অ্যাড্রেস ট্রেস করে আবার কানাডার লোকেশন পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।
এদিকে এই ঘটনার পর কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে সলমনের বাড়ি। সোমবার ভাইজানকে বাড়ির বাইরে একবারই দেখা গিয়েছিল। সে সময়ও ছিল নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। এমন সময় আবার কয়েকজন পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার দাবি করে মুখপাত্র হওয়ার ভান করছেন। সংবাদমাধ্যমে বলছেন এ সবই ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সোশাল মিডিয়ায় বিবৃতি দেন আরবাজ খান। লেখেন, লেখেন, “সংবাদমাধ্যমে সেলিম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়নি। আপাতত পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের সঙ্গে সমস্তরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। মুম্বই পুলিশের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং তাঁরা আমাদের নিরাপত্তার জন্য যথাসাধ্য করার আশ্বাস দিয়েছেন। সবাইকে ধন্যবাদ ভালোবাসা আর সাপোর্ট দেওয়ার জন্য।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.