সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে ‘ধর্মের ধ্বজা’ উড়িয়ে নিরীহ হিন্দু পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসলীলার জেরে সাম্প্রদায়িক বিভাজন নীতিতে সরগরম নেটপাড়া! নাম-পদবীর জেরে রোষানলে পড়তে হচ্ছে মুসলিমদের। এমন ‘অসম্প্রীতি’র আবহে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল ইরফান খানের ঈর্ষনীয় জীবনচর্যা।
অতীতে এক সাক্ষাৎকারে স্ত্রী সুতপা শিকদার ফাঁস করেছিলেন তাঁর স্বামী কতটা আধ্যাত্মিক ছিলেন। সুতপা জানান, “ইরফান বিশ্বাস করতেন, রোজা রাখার জন্য কিংবা আল্লার কাছে প্রার্থনা করার জন্য মুসলিম ধর্মাবলম্বী হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আধ্যাত্মিকতার বিশ্বাস যাঁর যাঁর ব্যক্তিগত।” ঠিক কেমন ছিল ইরফানের আধ্যাত্মবোধ? সেপ্রসঙ্গে সুতপা বলেন, “জীবনের শেষ কয়েক বছরে ভীষণভাবে একটাই ইচ্ছে প্রকাশ করতেন ইরফান। শারীরিক অসুস্থতার জন্য উপোস রাখতে পারতেন না। তবে মৃত্যুর দু বছর আগে থেকে একরোখা হয়ে উঠেছিলেন সোমবার উপোস করার জন্য। বলতেন- সপ্তাহে এই একদিন উপোস আমি করবই। একদিন ওঁর আত্মীয়স্বজনদের হতবাক করে দিয়ে ইরফান বললেন- আমি ঠিক করে নিয়েছি যে, শিবের দিন প্রতি সোমবার করে এখন থেকে উপোস করব।”
সেই সাক্ষাৎকারেই সুতপা জানান, ইরফান খান নিজের মতো করে আধ্যাত্মিক পথের খোঁজ করছিলেন। “বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পড়তেন। ওঁর কাছে আধ্যাত্মিক আবেশই ছিল ধর্ম।” এই সময়টায় অনেক ধর্মগুরুর বইও পড়েছেন প্রয়াত অভিনেতা। সুতপা বলেন, “রামকৃষ্ণ পরমহংস, বিবেকানন্দ, মহাবীর, ওশোদের নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই পড়তেন ইরফান। উপনিষদও পড়ে ফেলেছিলেন। তবে ইরফান কোনওদিনই ‘অতি ধার্মিক’ গোছের মানুষ ছিলেন না। ওঁর বিশ্বাস ছিল আধ্যাত্মিকচর্চায়।” ১৯৯৫ সালে সুতপা শিকদারের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন ইরফান খান। তার তিন বছর বাদে ছেলে বাবিলের জন্ম হয়। ২০২০ সালে সকলকে কাঁদিয়ে চিরতরে বিদায় নেন ইরফান। তাঁর ছেলে বাবিল বর্তমানে চুটিয়ে কাজ করছেন ইন্ডাস্ট্রিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.