সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিতৃ-মাতৃ পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর! নজরে পড়তেই চটলেন জিনাত আমান। ঘুরিয়ে জবাব দিতেও ছাড়লেন না বলিউডের ‘বোল্ড’ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, বয়স সত্তরের কোঠায় হলেও জিনাতের গুণমুগ্ধের সংখ্যা নেহাত কম নয়। মাসখানেক আগেই ইনস্টাগ্রামে হাতেখড়ি হয়েছে অভিনেত্রীর। সমাজ মাধ্যমে বেজায় সক্রিয় জিনাত। তাই তাঁর জন্মপরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, তা মোটেই নজর এড়ায়নি জিনাত আমানের। তড়িঘড়ি সেই খবরের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ভুল শুধরে দিলেন তিনি।
জিনাতের শেয়ার করা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতেই দেখা গেল সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম। যেখানে স্পষ্ট করে সেসব বলিউড নায়িকাদের নামোল্লেখ করা হয়েছে, যাঁরা ভিন্ন সম্প্রদায়ের দম্পতির সন্তান। কিংবা যাঁদের বাবা-মা দুই ভিন্ন দেশের নাগরিক ছিলেন। সেই তালিকায় জিনাত আমান থেকে নার্গিস ফকরিদের মতো নায়িকাদের নাম রয়েছে। তবে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল ভুয়ো তথ্য। সংশ্লিষ্ট খবরে লেখা হয়েছিল, জিনাতের মা জার্মান খ্রিস্টান। সেই তথ্যই শুধরে দিলেন অভিনেত্রী।
জিনাতের মন্তব্য, “আমি খুশি যে তাবড় সব অভিনেত্রীদের সঙ্গে একই তালিকায় আমাকে রাখা হয়েছে। তবে, আমার অনুরোধ প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এই তথ্যগুলো একবার যাচাই করে নেওয়া উচিত। আমার মা জার্মান খ্রিস্টান ছিলেন না, তিনি হিন্দু। আমার বাবা আমানুল্লা খান মুসলিমকে বিয়ে করার পরও তাঁর ধর্মবিশ্বাস বদলায়নি। দুজনেই ভারতীয়। তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর একজন অসাধারণ জার্মান লোকের প্রেমে পড়েন আমার মা। তাঁদের বিয়েও হয়। মায়ের দ্বিতীয় স্বামী ছিলেন জার্মান খ্রিস্টান। যাঁকে আমরা ‘হেইনিৎজ আঙ্কেল’ বলে ডাকতাম।”
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে মায়ের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন জিনাত আমন। আদুরে পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি অসাধারণ একটা জীবন পেয়েছি, কারণ একজন চমৎকার নারী আমাকে বড় করেছেন। আমার মা ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবারের বুদ্ধিমতী মহিলা। আমাকে নিজের শর্তে বাঁচতে শিখিয়েছেন তিনি। আমার সাফল্য়ের অন্যতম সাফল্য তিনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.