সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিজার প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই চর্চায় ‘আর্চিস’। কেউ পরিচালক জোয়া আখতারের রিসার্চওয়ার্ককে তুলোধোনা করেছেন তো কেউ বা আবার বিটাউনের তারকাসন্তানদের নিয়ে সিরিজ তৈরি করায় ‘আর্চিস’কে ‘নেপোটিজমের আঁতুরঘর’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। সেই বিতর্কযজ্ঞে ঘৃতাহূতি দিয়েছে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া টিজার। এবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন জোয়া আখতার।
আর্চি কমিকস-এর ভারতীয় সংস্করণ ‘দ্য আর্চিস’ তৈরি করেছেন জোয়া আখতার। ১৯৬৪ সালের প্রেক্ষাপটে ভারতের এক কাল্পনিক পাহাড়ি অঞ্চল, রিভারডেল। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান স্কুলের পড়ুয়ারাদের বন্ধুত্ব, সম্পর্ক নিয়েই এই সিরিজ। পোশাকেও রেট্রো ছোঁয়া। টাইপরাইটার, সাইকেল, মিল্কশেক, কেক-কমলালেবু… আট-নয়ের দশকের প্রজন্ম শৈশবের নস্ট্যালজিয়া ফিরে পাবেন ‘দ্য আর্চিস’-এর মাধ্যমে।
তবে আর্চি কমিকস-এর যেরকম ভারতীয়করণ করেছেন জোয়া আখতার, দর্শকদের একাংশ তাতে সমালোচনা করেছেন। কারও কারও মতে, ১৯৬৪ সালে ভারতীয়রা এরকম দেখতে ছিল না। তাদের বেশভূষাও এরকম ছিল না। এবার সেই প্রেক্ষিতেই কষিয়ে জবাব দিলেন পরিচালক জোয়া।
জোয়া আখতারের কথায়, “লোকজন এভাবে কেন ভাবছে? ওরা সকলেই তো ভারতীয়। এটা এক ধরণের বর্ণবিদ্বেষ। আপনারা কি বলতে চান, ফর্সারা ভারতীয় নন? আপনারা ঠিক করে দেবেন যে ভারতীয়দের দেখতে কীরকম লাগবে? সেটা হৃতিক রোশন হতে পারে, রজনীকান্ত হতে পারে কিংবা দিলজিৎ দোসাঞ্জ বা মেরি কমও হতে পারেন। এটাই ভারতের সৌন্দর্য। ভারতে অনেক মানুষ ফর্সা।”
প্রসঙ্গত এই সিরিজ দিয়েই অভিনয়জগতে হাতেখড়ি হল বলিপাড়ার একাধিক তারকাসন্তানদের। সেই তালিকায় শাহরুখকন্যা সুহানা খান, শ্রীদেবিকন্যা খুশি, অমিতাভের নাতি অগস্ত্যরা যেমন রয়েছেন তেমনই অভিনয় করেছেন মিহির আহুজা, বেদং রায়না, যুবরাজ মেন্দা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.