সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (CoronaVirus) কালে বাড়ি ছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ-সহ (Pandit Birju Maharaj) ২৭ জন প্রথিতযশা শিল্পী। সরকারি কোটায় পাওয়া বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেককে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। এতেই বিপাকে পড়েছেন শিল্পীরা। সাহায্যের আশায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) চিঠি লিখেছেন বিরজু মহারাজ।
বাজার মূল্যের তুলনায় অনেক কম মাসিক লাইসেন্স ফি’র বিনিময়ে ‘এমিনেন্ট আর্টিস্ট কোটা’র ভিত্তিতে এই বাড়িগুলি পেয়েছিলেন শিল্পীরা। পণ্ডিত বিরজু মহারাজ ছাড়াও কোটায় পাওয়া এই বাড়িতেই ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের সংসার সাজিয়েছেন চিত্রশিল্পী যতীন দাস, সন্তুরবাদক ভজন সোপোরি, মোহিনীঅট্টম শিল্পী ভারতী শিবাজীর মতো প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। প্রত্যেকেই বাড়ি ছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছেন। ১৯৭৮ সাল থেকে দিল্লির শাহজাহান রোডে বিরজু মহারাজের ঠিকানা। উচ্ছেদের নোটিসে দুঃখ প্রকাশ করে অশীতিপর শিল্পী জানান, কোভিডের (COVID-19) কারণে গোটা দেশে যখন ভয়াবহ পরিস্থিতি তখন তাঁর মতো বয়স্ক মানুষের পক্ষে বাইরে বেরিয়ে বাড়ি খোঁজা সম্ভব নয়। বিষয়টি মানবিকতার দিক থেকে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিত্রশিল্পী যতীন দাসও। জানিয়েছেন, তাঁর আর কোনও এমন ঠিকানা নেই যেখানে গিয়ে উঠতে পারেন।
শিল্পীদের থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণেই তাঁদের উঠে যেতে বলা হয়েছে বলে নাকি দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃত মন্ত্রক ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। এবিষয়ে শিল্পীদের বক্তব্য, আইনের থেকেও বড় একজন শিল্পীর সম্মান, মানবিকতার সম্মান। সেই দিক বিচার করেই প্রতিবার সরকারের পক্ষ থেকে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। দেশের প্রতিটি কাজে শিল্পীরা পাশে থাকেন, আন্তর্জাতিক স্তরেও দেশের নাম তাঁরা উজ্জ্বল করেন। তাঁদের এইটুকু সম্মান প্রাপ্য বলেই মনে করছেন শিল্পী মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.