আকাশ মিশ্র: কথা ছিল এক সপ্তাহ পরে মুক্তি পাবে সইফ-অর্জুনের ‘ভূত পুলিশ’। তবে নির্মাতা হঠাৎ করেই ঠিক করে ফেলেন, গণেশ চতুর্থীতেই রিলিজ করা হোক সিনেমা। সে ভাল, কিন্তু তাড়াহুড়োর কী ছিল, তা ছবি দেখে বোঝা বড্ড মুশকিল। কারণ, পরিচালক পবন কৃপালিনীর এই ছবি একসপ্তাহ কেন, এক মাস পরে মুক্তি পেলেও কোনও অসুবিধা হত না। এমনকী, ছবিটা যদি তৈরি নাও হতো তাতেও খুব একটা ক্ষতি ছিল না। কারণ, এই ‘ভূত পুলিশ’ (Bhoot Police Review) তিনটি ইংরেজি ছবি থেকে হুবহু টোকা! পরিচালকের নিজস্বতা বলতে, সঠিক মিশ্রণ!
দুই ভাই বিভূতি (Saif Ali Khan) আর চিরুঞ্জি (Arjun Kapoor) দু’ জনেই পারিবারিক ব্যবসা তন্ত্রসাধনার সঙ্গে যুক্ত। একদিকে ছোট ভাই চিরুঞ্জি ব্যবসা ঠিকঠাক চালাতে চায় আর অন্যদিকে বড় ভাই বিভূতি ধাপ্পাবাজিতে সিদ্ধহস্ত। ঠিক এই সময় আলাপ হয়, দুই বোন মায়া (Yami Gautam ) ও কানুর (Jacqueline Fernandez) সঙ্গে। দুই বোনের সঙ্গে আলাপ হতেই দুই তান্ত্রিক ভাই জানতে পারে দুই সুন্দরীর ফার্ম হাউজে রয়েছে ভূত! এখান থেকেই গল্প ঘোরে ভূতের ছবি দিকে। তবে তা ভয় দেখাতে যেমন পারে না, তেমনি হাসাতেও পারে না।
ঘরানায় ফেলতে হলে ‘ভূত পুলিশ’ (Bhoot Police Review) একটি হরর কমেডি। তবে ছবিটা কোনও দিক দিয়ে ভয়েরও নয়,কমেডিও নয়। বরং ‘এক্সরসিট’, ‘ইভিল ডেড’, ‘স্কুবিডু’ এই তিনটে ছবি থেকে কিছুটা কিছুটা নিয়ে টুকে ফেললেন পরিচালক। যার ফলে ‘ভূত পুলিশ’ ছবির উদ্দেশ্য-বিধেয় বোঝা দায়। অভিনয়ের দিক থেকে অর্জুন কাপুর ও সইফ আলি খানের তেমন কিছু করার ছিল না। সইফ যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন কমিক রিলিফ দেওয়ার জন্য। অর্জুন তো সেটাও পারলেন না।
অন্যদিকে, ইয়ামি গৌতম আর জ্যাকলিন তথৈবচ! মোদ্দা কথা হল, ‘ভূত পুলিশ’ ছবির চিত্রনাট্য এতটাই দুর্বল যে অভিনেতাদের সমস্ত প্রচেষ্টাই বিফলে যায়। শেষমেশ, বলা যায় সইফ-অর্জুনের ‘ভূত পুলিশ’ ছবি অন্তত মাঝারিমানের একটি ছবি। যা কিনা দেখতে বসলে, বেশিক্ষণ দেখা প্রায় অসম্ভব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.