আকাশ মিশ্র: একেই বলে অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। এক গাদা ভাল অভিনেতা ছিলেন, সুযোগ ছিল প্রচুর, কিন্তু সুযোগের অপব্যবহার হওয়ায় পরিচালক অভিষেক জৈনের ছবি ‘হাম দো হামারে দো’ (Hum Do Hamare Do) আধঘণ্টা দেখার পরেই দর্শকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। যা পড়ে থাকে, তা একমাত্র পরেশ রাওয়াল (Paresh Rawal) ও রত্না পাঠকের দুর্দান্ত অভিনয়।
কৃতি শ্যাননকে (Kriti Sanon) একবার দেখেই প্রেমে পড়ে যান রাজকুমার রাও (Rajkumar Rao)। তারপর ধীরে ধীরে জমতে থাকে বন্ধুত্ব। ঠিক যখন বিয়ের প্ল্যানিং শুরু, ঠিক তখনই কৃতির আবদার।তিনি এমন এক ছেলেকে বিয়ে করতে চান, যার মিষ্টি মা-বাবা রয়েছে।কিন্তু রাজকুমার তো অনাথ! এক ধাবার মালিক ওরফে পরেশ রাওয়ালের কাছেই বেড়ে উঠেছেন।পরেশ আবার মনে মনে ভালবাসেন রত্না পাঠককে। যাকে ছোটবেলায় একবার ধাবায় দেখেছিলেন রাজকুমার। কৃতির আবদার মেটাতে পরেশ ও রত্নাকে নকল মা-বাবা সাজিয়ে নেন রাজকুমার। মোটামুটি এরকমই এক গল্প বলে ‘হাম দো হামারে দো’। কীভাবে নকল মা-বাবাকে নিয়ে রাজকুমারের প্রেমের নৌকা তীরে এসে দাঁড়ায় তাই মূলত ছবির ক্লাইম্যাক্স। যা কিনা আগে থেকেই আন্দাজ করা যায়।
এই ছবির একমাত্র স্ট্রং পয়েন্ট হল রত্না পাঠক (Ratna Pathak) ও পরেশ রাওয়াল জুটির অভিনয়। এই দু’জনের অসাধারণ কমিক টাইমিং এখনও মুগ্ধ করে। নিজের চরিত্রে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছেন রাজকুমার রাও। তবে আশাহত করেছেন কৃতি শ্যানন। ‘বরেলি কি বরফি’, ‘মিমি’ ছবিতে কৃতির পারফরম্যান্স যতটা জোরদার ছিল, এই ছবিতে কৃতি ততটাই দুর্বল।
‘হাম দো হামারে দো’ ছবির সবচেয়ে দুর্বল জায়গা হল চিত্রনাট্য। এই ছবি নতুন কিছু দিতে পারে না। একটা দৃশ্য শুরু হওয়ার আগে, খুব সহজেই আন্দাজ করা যায় পরের দৃশ্যে ঠিক কী হতে চলেছে। শেষমেশ বলা যায়, ‘হাম দো হামারে দো’ দেখুন শুধুমাত্র দুই অভিনেতার জন্য। কারণ, রত্না পাঠক ও পরেশ রাওয়ালের কাঁধে চেপে ছবিটি এগিয়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.