আকাশ মিশ্র: ‘মীনাক্ষী ও সুন্দরেশ্বর’ (Meenakshi Sundareshwar )। শিব ও পার্বতীর আরেক নাম। মাদুরাইতে এই নামে এক মন্দিরও রয়েছে, যা কিনা বিয়ের জন্য জনপ্রিয়। এই মন্দিরেই নাকি বিয়ে করেছিলেন শিব ও পাবর্তী। তাই এই মন্দিরের মাহাত্ম্যই আলাদা। পরিচালক বিবেক সোনি এই মন্দিরের প্রেক্ষাপটে রেখে নায়ক-নায়িকাকে সম্পর্কে বেঁধে ফেললেন। সঙ্গে নিয়ে আসলেন ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’ এবং ‘লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপের মতো বিষয়।’ তবে এই দুটি শব্দ শুনতে সোজা লাগলেও, ছবিতে এল বেশ জটিলভাবেই। কেননা, ছবির মীনাক্ষী একজন রজনীকান্তের অন্ধভক্ত, একেবারে ফিল্মি, দিবাস্বপ্নতে ডুবে থাকা এক মেয়ে। আর অন্য়দিকে, তাঁর স্বামী সুন্দরেশ্বরের প্রথম প্রেম কোডিং আর দ্বিতীয় প্রেম চাকরি, তারপর সময় বাঁচলে সদ্য বিবাহিত বউ। তবে বউয়ের প্রতি একেবারেই কঠোর মনোভাব নেই তাঁর। সে শুধু প্রেমের প্রকাশ করতে গিয়েই গণ্ডগোল করে ফেলে। সামনে চলে আসে বড় হওয়ার স্বপ্ন। আর তারপরেই সব ঘেঁটে ঘ। মীনাক্ষী যেন দূরে চলে যেতে থাকে। এরকমই এক গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায় ‘মীনাক্ষী সুন্দরেশ্বর’। যার প্রতি ফ্রেমে কখনও প্রেম, কখনও বিরহকে খুবই আবেগ দিয়ে সাজিয়েছেন পরিচালক বিবেক।
এই ছবির সবচেয়ে স্ট্রং পয়েন্টই হল অভিনয়। আর এ ব্যাপারে সবার উপরে থাকবে সানিয়া মালহোত্রা (Sanya Malhotra)। দক্ষিণী এক মেয়ে মীনাক্ষীর চরিত্রে সানিয়া যেন একেবারে মিলে মিশে গিয়েছেন। তাঁর আদবকায়দা, সংলাপ বলার ধরন মুগ্ধ হয়ে দেখতে হয়। বলা ভাল, এই ছবির নাম শুধু মীনাক্ষী হলেও, ক্ষতি ছিল না। অন্যদিকে অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রীপুত্র অভিমন্যু দাশানিও একশো শতাংশ দিয়েছে সুন্দরেশ্বর হয়ে ওঠার জন্য। তাঁর শুধু একটাই খামতি। অনেক ক্ষেত্রে ভাবলেশ হয়ে যাওয়া!
‘মীনাক্ষী সুন্দরেশ্বর’ এমন এক ছবি, যার গল্প খুব একটা নতুন নয়। এ ধরনের প্রেমের গল্প বহুবার দেখা গিয়েছে সিনেমার পর্দায়। তবে এই ছবি অন্য ছবির থেকে এগিয়ে থাকে তার সরল গল্প বলার ঢঙের জন্য়ই। তবে ছবিটিতে সম্পাদনা আরেকটু ভাল হতে পারত। বেশ কিছু অযথা দৃশ্য রয়েছে যা ছবির গতি শ্লথ করে দেয়। যাঁরা লাভ স্টোরি দেখতে ভালবাসেন, তাঁরা অবশ্যই দেখুন। কারণ, ছবি শেষে ভাল অনুভূতি রেখে যায়,’মীনাক্ষী সুন্দরেশ্বর’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.