সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম চারটে এপিসোডেই মন কেড়ে নিয়েছিল ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’। কচু বাটা, মাঝের ঝোলের সেই স্বাদ পরের চারটি এপিসোডেও বজায় রইল। তাতে আবার যুক্ত হল মুক্তিযুদ্ধ, উদ্বাস্তু যন্ত্রণা। দেবালয়ের ভট্টাচার্য পরিচালিত সিরিজের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে রইলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly)।
ইন্দুবালার গল্প যতটা মানুষের, ততটাই সময়ের। সময়ের স্রোতে একের পর এক সম্পর্ক বয়ে যেতে থাকে। আর মানুষ একাকী দর্শকের মতো পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অশ্রুমালাকে আপন করে নিয়ে আবার নতুন করে পথচলা শুরু করে। আগের মতোই শেষের এপিসোডগুলিতে সময়ের চাকার গতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন পরিচালক দেবালয়। কখনও তিনি কলাপোতার চঞ্চল ইন্দুবালা আর মণিরুলের কাহিনি দেখিয়েছেন, কখনও স্বামীর ধর্ষণের শিকার হওয়া গৃহবধূ ইন্দুবালার সংগ্রাম দেখিয়েছেন। আর এই স্মৃতিকে সঙ্গী করেই জীবনযুদ্ধে অবিচল বৃদ্ধ ইন্দুবালা।
পঞ্চম এপিসোডের শুরুতেই নকশাল আন্দোলনের দৃশ্য দেখা যায়। ইন্দুবালার ভাতের হোটেল তার মধ্যেও বেশ ভালভাবেই চলছে। এখনও মণিরুলের দেখা পাওয়ার আশা রয়েছে তাঁর মনে। এর মধ্যেই লক্ষ্মীর চরিত্রকে কখনও অতীতে, কখনও ইন্দুবালার কল্পনা হিসেবে দেখা গিয়েছে। প্রথম চারটি এপিসোডে লক্ষ্মীর ভূমিকায় মুগ্ধ করেছিলেন স্নেহা চট্টোপাধ্যায়। এখানে তাঁর ইন্দুবালার সঙ্গী হওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার ছিল না।
বরং ইন্দুবালার ছোটছেলের চরিত্রে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rahul Banerjee) কাছে আরও একটু বেশি আশা করেছিলেন। তা পূরণ হল না। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সুহোত্র নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। বাকি চরিত্ররাও নিজেদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করেছেন। তবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যার কথা বলতে হবে তিনি শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। নিজেকে ইন্দুবালা হিসেবে প্রতিটা মুহূর্তে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছেন নায়িকা। তবে তিনিই স্টার অফ দ্য শো।
সিরিজ – ইন্দুবালা ভাতের হোটেল
অভিনয়ে – শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, প্রতীক দত্ত, দেবপ্রতীম দাশগুপ্ত, অঙ্গনা রায়, পারিজাত চৌধুরী, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, মিঠু চক্রবর্তী প্রমুখ
পরিচালনায় – দেবালয় ভট্টাচার্য
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.