সুপর্ণা মজুমদার: ছোট মুখে বড় কথা! হ্যাঁ, বলা যায়। তার জন্য সবসময় চিৎকার করতে হয় না। ছোট্ট আঙুল তুলেই প্রশ্ন করা যায়, “রাজা তোর কাপড় কোথায়?” বড় কথা ছোট ছবিতেও বলা যায়। একথা বুঝিয়ে দিল প্রযোজক বিদ্যা বালানে (Vidya Balan) ‘নটখট’ (Natkhat)। মাত্র ৩৩ মিনিটেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কঙ্কালসার চেহারা দেখিয়ে দিল স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিটি । হিন্দি শব্দ ‘নটখট’। বাংলায় তার অর্থ দুষ্টুমি। এই ‘দুষ্টুমি’র আড়ালে কত কিছুই না করে পার পাওয়া যায়! কিন্তু তাতে আখেরে লাভ হয় কি? প্রশ্ন তুলেছে শান ব্যাস (Shaan Vyas) পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি।
ভাগ্যিস Voot প্ল্যাটফর্মের ভারচুয়াল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ছিল। তার সৌজন্যেই বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত ছবিটি দেখে ফেলা গেল। এ ছবি দেখলে অনেকের অস্বস্তি হতেই পারে। লিঙ্গের অহংকার কীভাবে সমাজকে রোগে জর্জরিত করে তুলছে, তা প্রতিটা পদে অনুভব করা যাবে। কাহিনি আবর্তিত হয় ছোট্ট সোনুকে কেন্দ্র করে। যাকে সমান অধিকারের গুরুত্ব বোঝায় তার মা।
ছবিতে সোনুর চরিত্রের জন্য শিশুকন্যা সনিকা প্যাটেলকে (Sanika Patel) বেছেছেন পরিচালক শান। তার সাবলীল অভিনয় নজর কাড়ে। বিদ্যার অভিনয় সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। বলিষ্ঠতা তাঁর মজ্জাগত। আপাত দৃষ্টিতে শ্বশুরবাড়ির যাঁতাকলের পিষতে থাকা এক মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা। যার পরপুরুষের সামনে ঘোমটা খোলার অনুমতি পর্যন্ত নেই। কিন্তু, নিজের সন্তানকে আগলে রাখার ক্ষেত্রে মা কোনও বাধাই মানেন না। সমাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাকে নামতেই হয়। এমন একটি চরিত্রে বিদ্য়া ছাড়া আর কাউকে যেন ভাবাই যেত না।
ছোট ছোট মুহূর্ত ‘নটখট’কে সমৃদ্ধ করেছে। দাদাদের দেখে সনু ও তাঁর বন্ধুরা যখন সহপাঠিনীকে তুলে নিয়ে যায়, সে দৃশ্য গায়ে কাঁটা দেয়। এ গল্প একবার দেখে নিতেই পারেন। সময় খুব একটা বেশি লাগবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.