সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গায়ক সোনু নিগমকে খুনের চক্রান্ত করেছিল জেহাদিরা। এখনও তাঁর বিপদ পুরোপুরি কাটেনি। নিজের নিরাপত্তার জন্য তাঁকে আপাতত মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। গোয়েন্দাদের এই দাবি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বছরখানেক আগে ভোরের আজান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন বলিউডের গায়ক সোনু নিগম। আজান নিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি টুইট করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, মাইকে তারস্বরে চেঁচিয়ে কাউকে প্রার্থনা শুনতে বাধ্য করা উচিত নয়। যাঁরা প্রার্থনা করতে চান, তাঁরা নীরবে করলেই পারেন। এতে জনবহুল জায়গায় বহু মানুষের ঘুমের ও বিশ্রামের ব্যাঘাত ঘটে। শব্দদূষণও হয়। গোয়েন্দারা মহারাষ্ট্র পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই টুইটগুলি দেখে কয়েকটি জেহাদি সংগঠন সোনু নিগমকে খুনের ছক কষেছিল। কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তিও তাদের সাহায্য করত। যদিও তারা শেষপর্যন্ত গায়কের উপর আক্রমণ চালাতে পারেনি। জেহাদিদের ষড়যন্ত্রের কথা জানাজানি হওয়ার পরেই সোনু নিগমের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তাঁকেও বলা হয়েছে সতর্ক থাকতে। কারণ জঙ্গিরা অতীতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই হাল ছেড়ে দেবে এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। আগামী দিনেও তাঁর ওপরে হামলার চেষ্টা করতে পারে তারা। তাই তাঁকে মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সোনু নিগম লাউডস্পিকারে আজান দেওয়ার বিরুদ্ধে ওই টুইটগুলি করার পরে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ তাঁকে সমর্থন করেন। কিন্তু কয়েকজন মুসলিম ধর্মগুরু হুমকি দেন, তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া হবে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, জেহাদিরা দীর্ঘদিন ধরে সোনু নিগমের ওপরে নজর রাখছিল। তিনি কখন বাড়িতে ঢোকেন বা বেরোন, কোথায় যান, কখন তাঁকে অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া যায়, সব নজর রাখত। শেষপর্যন্ত তারা ঠিক করে, কোনও এক জলসায় সোনু নিগমকে খুন করা হবে। কিন্তু গোয়েন্দা তৎপরতার কারণে জেহাদিরা সফল হয়নি।
[ সেনা দিবসে শহিদ পত্নীদের বিশেষ সম্মান জানালেন ‘উরি’ ছবির নির্মাতারা ]
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রানের ছেলে তথা প্রাক্তন সাংসদ নীলেশ রানে বলেছেন, শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরেও একসময় সোনু নিগমকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। বাল ঠাকরে বারবার এই চেষ্টা করেছিলেন। কেন বালাসাহেব গায়ককে খুনের চক্রান্ত করেছিলেন, তা অবশ্য নীলেশ ভেঙে বলেননি। নীলেশের দাবি, বালাসাহেব শিবসেনা নেতা আনন্দ দিঘের মৃত্যুর জন্যও দায়ী। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা এমনভাবে সাজিয়েছিলেন যাতে মনে হয় হাসপাতালে চিকিৎসার সময় তিনি মারা গিয়েছেন। শিবসেনার আরও দুই কর্মী নাকি দিঘের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জেনে ফেলেছিলেন। তাই বালাসাহেব তাঁদেরও খুন করেন। শিবসেনা এই নীলেশের ওই দাবিগুলি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
[ দ্বিতীয় বিয়েও ভেঙে গেল শ্রাবন্তীর ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.