সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই!
অতি পরিচিত, বহু ব্যবহারে মরচে ধরা এই চার শব্দ এবার বেরলো মহেশ ভাটের হাত দিয়ে। সলমন খানের পরে তিনিও আর চুপ করে রইলেন না! ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অবনমন এবং এদেশ থেকে পাক-শিল্পীদের বিতাড়ন নিয়ে মুখ খুললেন! বা বলা যায়, হাত খুলে চিঠি লিখলেন! অতঃপর, সেই চিঠি-সহ নিজের একটি ভাবগম্ভীর মুখ তুলে ধরলেন টুইটারে!
সেই চিঠিতে কী লিখেছেন বলিউডের এই বর্ষীয়ান পরিচালক?
”হে প্রিয় নেতৃবর্গ, কিছু মানুষের সন্ত্রাসের প্রত্যুত্তর দিতে গিয়ে সবার ভবিতব্যে যুদ্ধের মতো শাস্তি লিখো না! আমার মতো অনেক মানুষই যে শান্তিকামী!” বক্তব্য মহেশ ভাটের!
আহা! বক্তব্যটি পড়লে আর মহেশ ভাটের প্রায় অসহায় সেই মুখখানি দেখলে যেন চোখে জল আসে! মন ভিজে যায়! কিন্তু, এই প্রসঙ্গে দুটি কথা না বললেই নয়!
— Mahesh Bhatt (@MaheshNBhatt) 1 October 2016
প্রথমত, সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে কেউ নিরপেক্ষ থাকতে পারে না! থাকা উচিতও নয়! থাকলে তাকে পাপ বলেই গণ্য করতে হবে। যেমন, শ্রীকৃষ্ণ ধর্মযুদ্ধে অর্জুনকে স্পষ্টই পক্ষ অবলম্বন করতে বলেছিলেন। শান্তির কথা বলেননি!
দ্বিতীয়ত, একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না! পাকিস্তানের সঙ্গে যদি ভারতের সব আদান-প্রদানই বন্ধ হয়ে যায়, তবে মহেশ ভাটও কম চাপে পড়বেন না। পাকিস্তানের বীণা মালিক, ভাট-প্রযোজিত ছবি করেই তো বিখ্যাত হলেন! ভাট ভাইদের প্রযোজনা সংস্থা এভাবে কম পাক-সুন্দরীর শরীর তো আর রুপোলি পর্দায় তুলে ধরেননি!
তাহলে? এই শান্তির বার্তা মহেশ ভাটের পাক-সুন্দরী আমদানির কৌশল নয় তো?
তাছাড়া আরও কারণ রয়েছে! হামারি অধুরি কাহানির নাট্যরূপের টিকিট বিক্রির সময় দাবি করেছিলেন মহেশ ভাট, পাক গজল-গায়ক গুলাম আলি তাতে সুর দেবেন! যা কি না নাটকের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। এখন যদি যুদ্ধের ডঙ্কা বেজে ওঠে, তবে নাটকের কী হবে?
সব মিলিয়ে, মহেশ ভাটের কপালে ভাঁজের সংখ্যা বাড়াচ্ছে দেশের এই পরিস্থিতি! তবে কী জন্য, সে বিচার আপনারাই করে দেখুন দেখি!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.