সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোজপুরী ছবি মাত্রই একটা রগরগে ব্যাপার। পরতে পরতে নায়িকার শরীরী হিল্লোল আর যৌনতায় সুড়সুড়ি। এবার এই শরীরী বিভঙ্গের উপর পর্দা পড়তে চলেছে। ভোজপুরি সিনেমার এই ট্রেন্ড কতদূর গিয়ে থামবে তা এখনও অজ্ঞাত। তবে ছবির এই ধরনের ‘অশালীনতা’-র উপর রাশ টানার কথা বলেছে পূর্বাঞ্চল বিকাশ প্রতিষ্ঠান। এই নিয়ে তারা আদালতে একটি পিটিশনও ফাইল করেছে।
[ ফিরছে ‘দিল ধড়কনে দো’ জুটি, আবার একসঙ্গে বড়পর্দায় প্রিয়াঙ্কা-ফারহান ]
অবশ্য পূর্বাঞ্চল বিকাশ প্রতিষ্ঠানের আপত্তি শুধু ভোজপুরি সিনেমা বা ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কাজকর্ম নিয়ে নয়। বিভিন্ন ধরনের অর্কেস্ট্রা নিয়েও আপত্তি তুলেছে তারা। তবে শহরের অভিজাত মহলের অর্কেস্ট্রা নয়। ভোজপুরি ছবির আইটেম সংয়ের তালে যখন গ্রামে স্টেজ বানিয়ে নাচানাচি হয়, সেগুলিকেই ইঙ্গিত করেছে তারা। তাদের মতে সেই সব জায়গাতেও খুব একটা শালীনতার পরিচয় পাওয়া যায় না। বরং নিম্ন থেকে নিম্নতম রুচির মানুষ যায় সেখানে। সিনেমায় যেমন অশালীনতার ছাপ থাকে, ওই সব অনুষ্ঠানেও সেগুলি থাকে। তাও আবার লাইভ। নর্তকীর শরীরী বিভঙ্গে থাকে যৌনতার ছড়াছড়ি। মোটকথা প্রতিটি অর্কেস্ট্রাতে মহিলাদের ‘বস্তু’ হিসেবে প্রতিপন্ন করা হয়। টিকিট বিকোয় তাদের অঙ্গ দেখে। দিন দিন এই নিম্ন রুচির অনুষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেখানেই প্রবল আপত্তি এই সংস্থার। তাদের মতে এতে সমাজে যেমন মহিলাদের সম্মানহানী হচ্ছে, তেমনই মানুষের রুচিবোধ নেমে যাচ্ছে।
[ কেন এত তাড়াতাড়ি বিয়ে? প্রশ্নের জবাবে মন কাড়লেন শাহরুখ ]
সংস্থার তরফে এও জানানো হয়েছে, অনেকসময় স্কুলের ছেলেরাও এই অনুষ্ঠান দেখতে আসে। ইচ্ছাকৃতই আসে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক নয় দেখেও তাদের টিকিট বিক্রি করা হয় ও অনুষ্ঠানে ঢুকতে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবে নারীশরীর নিয়ে তাদের শ্রদ্ধার বদলে ভোগের মানসিকতা বৃদ্ধি পায়। তারাও খারাপ শিক্ষা পায়।
সংগঠন জানিয়েছে, এই ধরনের যদি কোনও অনুষ্ঠান হয় তাহলে যেন সেখানে পুলিশ প্রহরার বন্দোবস্ত করা হয়। উত্তরপ্রদেশ ও বিহার সরকারের কাছে এনিয়ে পিটিশন জমা দিয়েছে সংস্থা। তারা অনুরোধ জানিয়েছে, এই সব সিনেমা ও অনুষ্ঠানের জন্য যেন নির্দিষ্ট গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.