সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ধে হলেই রিমোট হাতে টিভির সামনে বসে যান বাংলা ধারাবাহিকের দর্শকরা। ধারাবাহিকের গল্পের গরু গাছে উঠলেও, সেটাই গপগপিয়ে গিলছেন। পারিবারিক কাহিনি, অর্ধভৌতিক থেকে পৌরাণিক কাহিনি, সব ধরনের কাহিনি দেখারই সুযোগ মেলে এসব ধারাবাহিকে। তবে, অতিরঞ্জিত ভাবনাই এখন মূল উপকরণ হয়ে উঠেছে এসব ধারাবাহিকের, এমনটাই মত ধারাবাহিক-বিদ্বেষীদের। যার ফলে যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে পড়ে ধারাবাহিকের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের উপর। সোশ্যাল মিডিয়ায় হতে হয় ট্রোলের শিকার। সম্প্রতি, নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের একটি দৃশ্য। যা আপাতত বর্তমানে নেটিজেনদের খোরাক। ফলে ট্রোলের কোপ থেকে বাদ পড়েনি ওই ধারাবাহিকের অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা ওরফে জবা।
[আরও পড়ুন: শিল্পীদের বকেয়া পারিশ্রমিক মেটানোর জন্য এনওসি জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত রানা সরকারের]
ভাইরাল হওয়া ওই দৃশ্যে ধারাবাহিকের মূল চরিত্র জবাকে দেখা গিয়েছে এজলাসে এক উকিলের পোশাকে। তবে, সমস্যাটা ঠিক এখানে নয়। আসলে ভাইরাল হওয়া ওই দৃশ্যে জবাকে দেখা গিয়েছে অক্সিজেন মাস্ক পরে কোর্টে মক্কেলের হয়ে সওয়াল-জবাব করতে। ধারাবাহিক অনুযায়ী, জবা অসুস্থ। সেই জন্যই অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করতে হয় তাঁকে। আর তাই ওই দৃশ্যেও জবাকে অস্কিজেন মাস্ক পরিহিতা হিসেবেই দেখা গিয়েছে। কিন্তু একবার মগজ খাটিয়ে ভাবুন তো, অক্সিজেন মাস্ক পরে আদৌ কতটা এবং কীভাবে কথা বলা সম্ভব! এজলাসে মক্কেলের হয়ে সওয়াল-জবাব তো দূরের কথা। ঠিক এই বিষয়টিই নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। অতঃপর সোশ্যাল মিডিয়ায় খোরাক হতে হয় প্রিয় ‘জবা’কে।
[আরও পড়ুন: ‘ব্রিটিশের চামচা’, রামমোহনকে তীব্র ভাষায় অপমান অভিনেত্রী পায়েলের]
প্রসঙ্গত, এর আগেও অভিযোগ উঠেছিল যে বেশ কিছু ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য ভুলে ভরা। এর মধ্যে রানী রাসমণি, নেতাজি, বাবা লোকনাথ-সহ আরও দু’-একটা ধারাবাহিকের নাম উঠে এসেছিল। এই অভিযোগ এনেছিলেন ইতিহাস বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে মনীষীদের পরিবারের উত্তরসূরীরা। তাঁদের অভিযোগ মূলত ধারাবাহিকে দেখানো কাহিনির সাল-তারিখ নিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, প্রত্যেকটি পদে পদে এমন কিছু ঘটনা দেখানো হচ্ছে যা প্রায় ইতিহাসের সাল-তারিখ সমস্ত ঘেঁটে দিচ্ছে। দর্শক টানতে ধারাবাহিকগুলোর এহেন ‘অভিনব’ উদ্যোগে কেউ ভ্রূ-কোঁচকাচ্ছেন তো দর্শকদের একাংশ আবার গপগপিয়ে গিলছেন। তবে, মনস্তাত্ত্বিকদের একাংশের মতে এহেন অতিমানবীয় বিষয়বস্তু দেখালে আখেড়ে দর্শকদের তো ভুল পথে চালিত করা হয়ই। এর পাশাপাশি বাড়ির বাচ্চাদের মধ্যেও ভুল ধারণা তৈরি হয়। যা ওদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই খারাপ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.