সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারীতে প্রকট হয়েছে রক্ত সংকট। ‘খাপের লোক’ না থাকলে সামান্যতম রক্ত পেতেও হিমশিম খেতে হয় সাধারণ মানুষকে। আর সম্ভবত ঠিক সময়ই নিজেদের সবচেয়ে অসহায় বোধ করেন থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তরা। কোথা থেকে প্রয়োজনীয় রক্ত আনবেন, ভেবে কূল করতে পারেন না বাড়ির লোকেরাও। তেমনই অবস্থা হয়েছিল থ্যালাসেমিয়ায় শরীর নুইয়ে পড়া এক কিশোরের। কিন্তু তার মুশকিল আসান করে দিলেন মীর (Mir)। রক্ত দিয়ে মেটালের দীপ হালদারের কষ্ট।
দীপ হালদার। যার জীবনে থ্যালাসেমিয়া (thalassemia) থাবা বসানোর ‘অপরাধে’ একেবারে শিশু অবস্থাতেই তাকে ছেড়ে চলে যান মা–বাবা। সেই দুর্দিনে নাতিকে কোলে তুলে নিয়েছিলেন দাদু ও ঠাকুমাই। দাদু পেশায় রিকশা চালক। ঠাকুমা পরিচারিকা। কোনওক্রমে সংসার চলে তাঁদের। কিন্তু প্রতি মাসে দীপের জন্য রক্তের জোগাড় করতে হয়। আগে খুব একটা সমস্যা না হলেও মহামারী আবহে রক্ত পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। গত বছরও একই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ওই পরিবারকে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গতবার লকডাউনে সোনারপুর থেকে কলকাতায় হেঁটে এসে রক্ত খুঁজেছিলেন দীপের ঠাকুমা।
এবছর ফের করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জারি হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। তাই ফের বন্ধ গাড়িঘোড়া। আর সেই কারণে আবার দীপের রক্ত জোগাড় করতে হিমশিম অবস্থা দাদু-ঠাকুমার। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তদের নিয়ম করে রক্ত না দিলেই নয়। কিন্তু কোথায় পাবেন রক্ত। রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। তখনই খবর পেয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মীর। গত ২৮ মে দীপের জন্য রক্তদান করেন অভিনেতা। শনিবার ফেসবুকে নিজে সেই রক্তদানের কথা শেয়ার করে অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন তিনি।
মীর লেখেন, “দীপ হালদার সুস্থ থাকুক। শুধু এইটুকু চাওয়া। আপনিও এগিয়ে এসে দীপের মতন আরও অনেকের পাশে দাঁড়াতে পারেন। এই সুন্দর কাজটি আপনারই হাতের শিরায় শিরায়।” কমেডিয়ান-অভিনেতার এই মানবিক প্রয়াস প্রশংসা কুড়োচ্ছে নেটদুনিয়ার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.