ছবি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে বিগত দেড় মাস ধরে টলিপাড়ায় বন্ধ শুটিং। ১৯ মার্চ থেকে তালা ঝুলেছে সিনেমা হলগুলিতে। কত ছবির কাজ বাকি। এককথায়, করোনা পরবর্তী সময়ে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির উপরে যে অচিরেই বড়সড় একটা অর্থনৈতিক ধ্বস নামতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য! এমন পরিস্থিতিতেই শোনা গেল আরেক দুঃসংবাদ! জনপ্রিয় চ্যানেলের চারটি বাংলা ধারাবাহিক বন্ধ হতে চলেছে।
১২মে একদিকে যখন রাজ্য সরকারের তরফে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শুরু করার ছাড়পত্র মিলেছে, ঠিক সেই দিনই ওই চারটি ধারাবাহিকের প্রযোজনা সংস্থাকে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চ্যানেলের পক্ষ থেকে যে এই অর্থকষ্ট নিয়ে সিরিয়ালগুলি আর টানা সম্ভব নয়! যদিও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। তবে শোনা যাচ্ছে, খুব শিগগিরিই অফিশিয়ালি ঘোষণা করে দেওয়া হবে। ধারাবাহিক বন্ধ হলে যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন জুনিয়র টেকনিশিয়ানরা, তা বলাই বাহুল্য। এমনিতেই লকডাউনের জেরে দৈনন্দিন পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে যারা কাজ করেন, তারা ভীষণরকম সংকটের মধ্যে পড়েছেন। এরপর তার চারটি ধারাবাহিক বন্ধ হলে যে আরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে ইন্ডাস্ট্রিকে, তা বলাই যায়। লকডাউনের মেয়াদ যত বাড়ছে, ততই জোরালো হচ্ছে আশঙ্কা। এভাবে চলতে থাকলে প্রায় সব চ্যানেলের পক্ষ থেকেই ধারাবাহিকের বাজেট কমে যাবে। কাটছাঁট হবে কর্মীসংখ্যাও।
উল্লেখ্য, করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক ধাক্কাই যে এই চারটি ধারাবাহিক বন্ধ হওয়ার নেপথ্যে মূল কারণ, তা একেবারে স্পষ্ট। কারণ বর্তমানে সংবাদপত্রের পাশাপাশি টেলিভিশনেও বিজ্ঞাপন কমার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে বিজ্ঞাপন বাবদ যা আয় হত, সেই কোপ যথারীতি এসে পড়বে প্রযোজক, স্টুডিও মালিক থেকে শুরু করে সব কলাকুশলীদের উপর। এভাবে চলতে থাকলে সব চ্যানেলেরই টিআরপি পড়ে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.