সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে এবছর ম্লান রবীন্দ্রজয়ন্তী। কোথাওই হবে না কোনও অনুষ্ঠান। যদিও কেউ কেউ অনলাইনে অনুষ্ঠান করার চিন্তাভাবনা করেছে। বাংলা ধারাবাহিকগুলিতেও এই সময় রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ এপিসোড আসে টেলিভিশনে। কিন্তু এবছর, করোনা আবহে সেসব বন্ধ। তবে ব্যতিক্রম শ্রীময়ী।
এ বছরও রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বিশেষ এপিসোড আনছে এই ‘শ্রীময়ী’। লকডাউনের প্রভাবে যাতে বাঙালি দর্শকরা রবীন্দ্রজয়ন্তী থেকে বঞ্ছিত না থাকেন, তাই এমন সিদ্ধান্ত নেন ধারাবাহিকের নির্মাতারা। কিন্তু চাইলেই তো আর হবে না। সমস্ত বন্দোবস্ত করতে হবে। সেই সমস্যার সমাধানও হয়ে যায়। প্রত্যেক অভিনেতা অভিনেত্রীদের বাড়িতেই শুটিং করার আবেদন জানানো হয়। তাঁরাও না করেননি। প্রত্যেকে বাড়ি থেকে তাঁদের অংশটুকু অভিনয় করে পাঠিয়ে দিয়েছেন নির্মাতাদের কাছে। কেউ আবার এখনও শুটিংয়েই ব্যস্ত। তবে গোটাটা হচ্ছে বাড়িতেই। লকডাউনের নিয়ম মেনে বাড়ির বাইরে কেউই বের হচ্ছেন না।
এই প্রসঙ্গে শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি প্রত্যেক অভিনেতা অভিনেত্রীদের চিত্রনাট্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলও বুঝিয়ে দিয়েছেন। সবাই নিজের মতো করে শুটিং করছেন। তারপর পাঠাচ্ছেন তাঁকে। একবারে যে পছন্দ হচ্ছে, তা নয়। কখনও ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল পছন্দ হচ্ছে না, কখনও আবার অভিনয়। নির্দ্বিধায় তিনি আবার সেই অংশের শুটিং করার জন্য বলছেন অভিনেতা অভিনেত্রীদের। ক্লান্তি নেই তাঁদেরও। “ওরা খুব কো-অপারেট করছে। প্রোমোটা আপনারা অচিরেই দেখতে পারেন। প্রোমোটা দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না এটা বাড়িতে বসে হয়েছে।” বলছেন শৈবালবাবু।
তবে বাংলা ধারাবাহিক যে এই প্রথমবার বাড়িতে শুটিং করে টেলিকাস্ট হবে, তা নয়। এর আগে ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকে নববর্ষ স্পেশ্যাল এপিসোডের জন্য বাড়িতেই শুটিং করে পাঠিয়েছিলেন কলাকুশলীরা। সেনগুপ্ত পরিবারের বর্ষবরণ উৎসব নিয়ে হয়েছিল এপিসোডটি। বাড়িতেই শুটিং করে তৈরি হচ্ছে একের পর এক শর্ট ফিল্ম। সেগুলো দর্শকের প্রশংসাও কুড়োচ্ছে। বাড়িতে বসেই যদি এসব সম্ভব হয়, তবে রবীন্দ্র-স্মরণই বা বাকি থাকে কেন?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.