১৯ জুলাই অর্থাৎ আজ মুক্তি পেল ‘দ্য লায়ন কিং’। ছবি দেখার অভিজ্ঞতা লিখলেন সন্দীপ্তা ভঞ্জ।
ছবি: দ্য লায়ন কিং
হিন্দি ভয়েস কাস্ট: শাহরুখ খান (মুফাসা), আরিয়ান খান (সিম্বা), আসরানি ( জ্যাজু), শ্রেয়স তালপাড়ে (মিরক্যাট টিমন), আশিস বিদ্যার্থী (স্কার), সঞ্জয় মিশ্র (ওয়ার্টহগ পুম্বা), সুনিধি চৌহান (নালা)
পরিচালক: জন ফাবরু
উসকে দিল নস্ট্যালজিয়া
বাঙালি যেদিন শৈশবের দুপুরগুলোয় চিলেকোঠায় লুকিয়ে দু’আনার আচার খাওয়া ছেড়ে কিটক্যাট বা বিদেশি টফিতে মজেছিল, তার সঙ্গে সেদিন সখ্য হয়েছিল বেশ কিছু কার্টুনের বইয়েরও। রংচঙে মলাট। কার্টুনে ফুটে ওঠা পশুরাজ, আর তার সঙ্গীসাথী। পাতা ওলটালেই এক অন্য জগত। ‘দ্য লায়ন কিং’ আরও একবার ফিরিয়ে নিয়ে গেল সেই নিষ্পাপ শৈশবের দিনগুলিতে। কথাতেই আছে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। তা বাড়ল বইকী! ঠান্ডা প্রেক্ষাগৃহে বসেই স্মৃতির সরণিতে হেঁটে পারিবারিক আবেগ, চক্রান্ত, প্রেম, সম্পর্কের সেই গল্প ফের উসকে দিল নয়ের দশকের সেই নস্ট্যালজিয়াকে।
[আরও পড়ুন: সবার জন্য শিক্ষা, অধিকারের নয়া পরিভাষা ‘সুপার ৩০’]
নতুন বোতলে পুরনো মদ
সিম্বার হার না মানার চিরন্তন কাহিনি তো সবারই জানা। অপ্রতিরোধ্য, দুর্বার। সে পশুরাজ। ভাগ্যচক্রে পথ হারালেও তার নিজের আসন বুঝে নেওয়ার লড়াই আজও যে কোনও মানুষের অনুপ্রেরণার জ্বলন্ত উদাহরণ। বাবাহারা সিংহছানার বেড়ে ওঠা, খলনায়ক কাকা স্কারের চক্রান্তের শিকার হয়ে সিম্বার দূরে সরে যাওয়া। টিমন-পুম্বার ‘হাকুনা মাটাটা’ মন্ত্রে জীবনকে সহজ ভঙ্গিতে দেখতে শেখা সিম্বা। হারিয়ে যাওয়া বন্ধু নালাকে দেখে ফের শৈশবের দুষ্টুমিতে মেতে ওঠা… যাবতীয় আবেগ উসকে দিল ‘দ্য লায়ন কিং’। তবে হ্যাঁ, ১৯৯৪ সালের প্রথম লায়ন কিং একটা মাইলফলক হলেও ২০১৯-এ এর রিমেক দেখতে বসে বেশি তুলনায় না যাওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। যার মূল কারণ, ঝাঁ চকচকে ফটো রিয়ালিস্টিক অ্যাপ্রোচ। ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে শুট করা এই ছবি। ‘দ্য লায়ন কিং’-এর মেকিংকে চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির উদাহরণ হিসেবে খাঁড়া করাই যায়। সেই পুরনো গল্পকেই ঝাঁ চকচকে মুডে পরিবেশন করল ওয়াল্ট ডিজনি।
ফিল গুড ফ্যাক্টর
গনগনে রোদ, ধূ-ধূ করা মরুপ্রান্তর, বনে-জঙ্গলে-জলে খেলে বেড়ানো জিরাফ, জেব্রা, হরিণ, ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ানো রং-বেরঙের প্রজাপতি ত্রিমাত্রিক চশমা পরে আপনাকে নিয়ে যাবে সুদূর আফ্রিকার জঙ্গলে। তবে এর সঙ্গে অবশ্যই উল্লেখ্য হ্যানস জিমারের নেপথ্য সংগীত। ‘দ্য লায়ন কিং’-এর ডেরার পরিবেশ সৃষ্টিতে যে আবহ সংগীতের জুড়ি মেলা ভার।
আসা যাক, ছবির হিন্দি ডাবিং প্রসঙ্গে। মুচমুচে মজাদার সংলাপ। যার দৌলতে কিছু দৃশ্যে শিশুসুলভ হাসিতে ফেটে পড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিং খান-পুত্র আরিয়ান খান পশুরাজের গলায় প্রশংসা কুড়োনোর দাবিদার। তবে সবচাইতে যার কণ্ঠে সংলাপ মনে ধরল, তিনি অবশ্যই আসরানি। ‘সরকার’-এর বান্দা জ্যাজুর মুখে বেশ মানিয়েছে আসরানির ভয়েস। টিমনের গলায় শ্রেয়স তলপড়েও চমৎকার। তবে এদের সবার মাঝে গোটা হলজুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে শাহরুখের গলা। বলিউডের কিং খান তাঁর প্রতিভার আরেকটি স্বাক্ষর রাখলেন এখানেও। হিন্দিতে ‘দ্য লায়ন কিং’-এর থিম সং গেয়েছেন আরমান মালিক এবং সুনিধি চৌহান। সপরিবারে সবাহনে দেখে আসতেই পারেন ‘দ্য লায়ন কিং’ ।
[আরও পড়ুন: জমজমাট চিত্রনাট্যেই উতরে গেল হরনাথের ‘ভূতচক্র প্রাইভেট লিমিটেড’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.