সৌরভ মাঝি, বর্ধমান: মায়ের পায়ের রক্তজবা সকলেরই পরিচিত। লঙ্কা জবা অনেকে দেখেছেন৷ আরও দশ রকমের জবার প্রজাতি সাধারণত চোখে পড়ে। কিন্তু একসঙ্গে দু’শোর বেশি প্রজাতির জবা দেখলে সত্যিই চমকে উঠতে হয়৷ এই অসাধ্যই সাধন করল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ রিসার্চ অ্যান্ড সিড মাল্টিপ্লিকেশন ফার্ম। শুধু দেশীয় প্রজাতি নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি খামারে ঠাঁই পেয়েছে হাওয়াই, তাইওয়ান-সহ বিভিন্ন দেশের সত্তরেরও বেশি প্রজাতির জবা ফুলের চারা৷
[প্রায় ১০০ প্রজাতির আম সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের]
বিভাগের অধিকর্তা জয়প্রকাশ কেশরী জানান, সেখানের আমের মতোই জবা চারারও সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়া হচ্ছে। ফলে জার্মপ্লাজম কনজারভেশন-এর মাধ্যমে একদিকে মানুষকে গাছ সম্পর্কে সচেতন করা যাবে। পাশাপাশি, পরবর্তী ক্ষেত্রে গ্রাফটিং করে চারা তৈরি এবং বিলি করাও যাবে। সম্প্রতি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির জবা গাছের চারা। তা বসানোও হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায়। বেঙ্গালুরু ও পুণের বিভিন্ন আমদানিকারী সংস্থার মাধ্যমে এইসব জবা গাছ আনা হয়েছে। জয়প্রকাশবাবু বলেন, “এখানে এমন কিছু জবার প্রজাতি আনা হয়েছে যা পশ্চিমবঙ্গে প্রথম। আগে কখনও কেউ দেখেননি।”
[সেচ খাল মজে গিয়েছে, সমস্যায় বাগনানের কৃষকরা]
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল ক্যাম্পাস। কৃষি খামারেও জমির পরিমাণ প্রচুর। সেখানেই চলে এই ধরণের কর্মকাণ্ড। জয়প্রকাশবাবু জানান, সামনেই কালীপুজো। আর এই সময়টাই জবা গাছের চারা বসানোর জন্য উপযুক্ত। তাই এই সময় বিদেশি জবার এইসব প্রজাতি আমদানি করা হয়েছে। গাছে ইতিমধ্যে ফুলও আসতে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এই জবার চারাগুলিকে নিয়ে মূলত প্রদর্শনী করা হবে এবং শিক্ষার কাজে ব্যবহার করা হবে। বিভাগের অধিকর্তা বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি এই ধরনের কেন্দ্র তৈরি করে গাছের সংরক্ষণ করার এবং গাছ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.