Advertisement
Advertisement
Agriculture News

কৃষিকাজে বিদ্যুৎ খরচ হবে শূন্য! সোলার পাম্প বসিয়ে সমাধান উত্তর ২৪ পরগনায়

জেলা পরিষদের উদ্যোগে হবে কাজ, ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

Agriculture News: North 24 Parganas Zila Parishad takes initivative to build solar penels so that no electricity will be used

ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 8, 2025 11:55 pm
  • Updated:May 9, 2025 2:09 am  

অর্ণব দাস, বারাসত: কৃষিকাজে মূলত সেচের জন্য পাম্প চালাতেই বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, তার জন্য খরচও হয় বেশি। প্রতি মরশুমে এর জন্য একেকজন কৃষককে খরচ বহন করতে হয় কমবেশি তিন হাজার টাকা। অনেক কৃষক বিদ্যুতের এই বিল দিতে না পারায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ফলে চরম বিপাকে পড়তে হয় দরিদ্র চাষিদের। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরেই পাম্প চালাতে বিদ্যুৎ খরচ শূন্যে নামিয়ে আনতে উদ্যোগী হলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। কৃষি ও সেচ স্থায়ী কমিটির কমিটির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কৃষকদের জন্য সোলার পাম্প বসানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা পরিষদ।

বাংলার মধ্যে বৃহৎ জেলা বলে পরিচিত উত্তর ২৪ পরগনা। ১৯৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ২২টি ব্লক রয়েছে এই জেলায়। জেলায় অর্থনীতি অনেকটাই দাঁড়িয়ে রয়েছে ধান ও সব্জি চাষের উপর। কৃষকদের সংখ্যা নেহাত কম নয় প্রতিটি ব্লকে। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এগ্রি-ইরিগেশন এবং মাইনর ইরিগেশন বাগদা, বনগাঁ, গাইঘাটা, স্বরূপনগর, দেগঙ্গা, হাবড়া ১, হাবড়া ২, বারাসত ১, বারাসত ২ এবং আমডাঙা ব্লকে প্রাথমিকভাবে ১৫টি পয়েন্ট চিহ্নিত করেছে। যে এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ খরচ বহন করতে না পারার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে, সেই পয়েন্টগুলিতেই সোলার পাম্প বসাবে জেলা পরিষদ।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, এর জন্য বিল্ডিং নির্মাণ করে তার ছাদে বসানো হবে সোলার প্যানেল। থাকবে ইলেকট্রিক স্টোরেজ পয়েন্ট। সূর্যের আলোয় সোলার প্যানেলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে চাষীরা পাম্প চালাতে পারবেন। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সঞ্চয় হবে স্টোরে। স্টোরেযে বিদ্যুৎ রাতে অথবা মেঘলা আবহাওয়াতে ব্যবহার করা যাবে। একটি পয়েন্টের সোলার পাম্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন দেড়শো থেকে দু’শো জন কৃষক। এক একটি সোলার পাম্প তৈরিতে জেলা পরিষদের খরচ হবে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা। দেখভালের দায়িত্বে থাকবে সংশ্লিষ্ট কো-অপারেটিভ। ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ১৫টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ইঞ্জিনিয়রা পরিকাঠামোর বিষয়টি দেখছেন। মে মাসের শেষে কাজ শুরু হয়ে যাবে। বর্ষার পরের মরশুমে থেকে কৃষকরা সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে সেচের কাজ করতে পারবেন বলেই আশাবাদী। তাহলে আর কৃষকদের বিদ্যুৎ খরচ গ্রহণ করতে হবে না। প্রতি বছর এরকম ২০টি করে সোলার পাম্প তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement