রাজা দাস, বালুরঘাট: কৃষকদের নিয়ে কুমারগঞ্জে পিঁয়াজ চাষে উদ্যোগী স্থানীয় কৃষি সংগঠন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন কর্মকর্তা ও চাষিরা। বিকল্প চাষ হিসেবে তো বটেই, আপাতত চলতে থাকা সংকটের কথা মাথায় রেখে পিঁয়াজ চাষে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রধান ফসল ধান, পাট ও গম। তবে কিছু জমিতে সবজি ও অন্যান্য ফসলও চাষ হয়। তার মধ্যে মাত্র ৫ হাজার হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ চাষ হয় এই জেলায়। যার বেশিরভাগটাই গঙ্গারামপুর এবং কুশমন্ডি ব্লকে। এই মূহূর্তে বাজারে ব্যাপক সংকট পিঁয়াজের জোগানে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছে হেঁশেলের এই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে গিয়ে পিঁয়াজ চাষে চাষিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেন তিনি।
এরপরই জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকে চাষিদের নিয়ে পিঁয়াজ চাষে উদ্যোগী হয়েছে আজমির মুঙ্গিশপুর দিনদুখিনী ফামার্স ক্লাব। অন্যান্য চাষের মত এই চাষে কৃষকদের সরকারিভাবে আরও সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। ওই ক্লাবের প্রিন্সিপাল কো- অর্ডিনেটার জাইদুল সরকার জানান যে নিজেদের ঘরের জন্য কৃষকদের নিয়ে পিঁয়াজ চাষ শুরু করেছিলেন গতবার। প্রথমবার বর্ষায় ২ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। ২০১৯ সালের বর্ষাতেও তার থেকে কম পিঁয়াজ করতে পেরেছেন জমিতে জল থাকার কারণে। তবে সবকিছু মোকাবিলা করে এবার তারা অনেকটা এলাকায় পেঁয়াজ চাষ করতে কৃষদের উৎসাহিত করেছেন। নিজেদের ঘরের জন্য তো বটেই, বাজারে পেঁয়াজ ছাড়ার টার্গেট তাঁদের।
এবার তাঁদের ব্লকের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তত ৬ টি গ্রামের শতাধিক কৃষককে নিয়ে শীতকালীন পিঁয়াজ চাষ করবেন। প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছেন ইতিমধ্যে। সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তর তাঁদের পাশে থেকে আরও সহযোগিতা করলে তারা জেলায় পিঁয়াজ চাষে নতুন দিশা দেখতে পাবেন।
জেলা কৃষি আধিকারিক জ্যোতিন্ময় বিশ্বাস জানান, হর্টিকালচার দপ্তরের সঙ্গে তাঁরা কৃষকদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। ‘আত্মা’ প্রকল্পের মাধ্যমে তারা চাষিদের সহযোগিতা করবেন। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বীজ, সার দিয়ে সহায়তা করছেন। অনান্য সুবিধাগুলিও দেওয়া হবে চাষিদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.