কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণেরও বেশি পরিমাণ আম উৎপন্ন হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। গত বছর দীর্ঘদিন ধরে ঠান্ডার কারণে আমের ফলন কমে গিয়েছিল। কিন্তু এবার অনুকূল আবহাওয়া এবং উপযুক্ত বৃষ্টির জন্য ফলন দ্বিগুণেরও বেশি বলে জানাচ্ছে উদ্যানপালন দপ্তর। মুর্শিদাবাদে প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়। জেলার মধ্যে লালবাগ এবং জঙ্গিপুর মহকুমায় আমের ফলন সবচেয়ে বেশি।
বিশেষ করে নবাবের শহর লালবাগের বিভিন্ন বাগানে ভিন্ন ধরনের আমের প্রজাতি রয়েছে। গত বছর যেখানে কোনও কোনও গাছে মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ আম হয়েছিল সেই সমস্ত গাছে এবার প্রচুর পরিমাণে আম ঝুলছে। ২০২৪-এ হিমসাগর আমের দাম উঠেছিল কেজি পিছু ১০০-১২০ টাকা। গত ২০২৩ সালে মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে (খুচরো) হিমসাগর আম বিক্রি হয়েছিল মুর্শিদাবাদে। ফলে আমের ভালো উৎপাদনে লাভের আশায় রয়েছেন এলাকার চাষিরা।
জেলা উদ্যানপালন উপ-অধিকতা প্রিয়রঞ্জন সন্নিগ্রাহী বলেন, “এ বছর সেরকম ভাবে কালবৈশাখী ঝড় হয়নি, ফলে আম পড়ে গিয়ে নষ্ট হয়নি। তাছাড়া ছোট ছোট আম গাছে থাকার সময় ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে আমের ফলন অনেক বেড়েছে। গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণেরও বেশি পরিমাণে আম হয়েছে জেলায়। প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে এবছর প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। গতবার মাত্র ৭০-৮০ মেট্রিক টন আম উৎপন্ন হয়েছিল। ফলে এবার আমের দাম কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
তবে ভারতবর্ষের অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে কেমন ফলন হয়েছে আমের তার ওপর নির্ভর করছে বাজার দর। জেলায় আমের উৎপাদন আরও বাড়াতে হিমসাগর, ল্যাংড়া এবং আম্রপালি চারা বিতরণ করা হয়েছে প্রচুর। কোহিতুর বা চম্পা আম যেহেতু বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না সে কারণে দূরবর্তী এলাকায় ব্যবসা করতে হলে হিমসাগর এবং ল্যাংড়া আমকে গুরুত্ব দিতে হবে। সে কারণেই ওই দুই জাতের আমের ফলন বেশি হওয়ার লক্ষ্যে জোর দিয়েছে জেলা উদ্যান পালন দপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.