রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় মাথায় হাত এগরার চিনে বাদাম চাষিদের। একদিকে বৃষ্টি কম হওয়ায় বাদামের ফলন কম। অপরদিকে বাদাম তোলার সময় হতেই দফায় দফায় বৃষ্টি। যার ফলে চাষিরা পড়েছেন মহা ফাঁপরে। দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ার ফলে ব্যাপক ক্ষতি দেখা দিয়েছে চিনে বাদাম চাষে। চরম বিপাকে পড়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা মহকুমার বাদাম চাষিরা।
অধিকাংশ চাষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন। এবার বাদামের ফলন কম হওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। এগরা মহকুমায় এবার প্রায় আট হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে বাদাম। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাদামের ফলন কমেছে। ফলে তাঁদের আশঙ্কা বাদামের দাম এবার সঠিক পাবেন না। চাষিদের অভিযোগ, কৃষিদপ্তরের কাছ থেকেও মিলছে না সঠিক উপদেশ। যদিও এগরা মহকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষতির পরিমাণ কমাতে চাষিদের বিকল্প চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে জমি থেকে জল বের করার ব্যবস্থায় হাত লাগিয়েছেন চাষিরা। কিন্তু তাতেও কতটুকু বাঁচবে বাদাম গাছ সেনিয়েই চরম দুশ্চিন্তায় তাঁরা।
প্রশাসনের কাছে চাষিদের আরজি, লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে অন্তত ব্যাংক ঋণ মুকুবের ব্যবস্থা করুক সরকার। এগরার বাদাম চাষি কার্তিক পাল জানান, ‘‘বৃষ্টি না হওয়ার ফলে চিনা বাদামের ফলন কমেছে। আবার বাদাম তোলার আগে দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বাদাম চাষে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দাম এবার কেমন হবে সেটাও বুঝতে পারছি না। ঋণ নিয়ে দুই বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। কিন্তু এবার সেভাবে দাম পাওয়া যাবেনা বলে মনে হচ্ছে। তবে এবার ধান চাষে ফলন ভাল হয়েছে।’’
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.