ছবি: প্রতীকী
চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: সুস্বাদু ‘দাক্ষিণাত্যের রুই’ মাছের সফল বাণিজ্যিক চাষ করে তাক লাগিয়েছেন হলদিয়া ব্লকের মৎস্য চাষিরা। উদ্যোগে হলদিয়া ব্লক মৎস্য দপ্তর। বছরের প্রথমেই হলদিয়ায় (Haldia) ছাড়া হয়েছিল ‘দাক্ষিণাত্যের রুই’ মাছের চারা। তারপর ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছে এই মাছ। এরপর সফলভাবে কর্ণাটকের রুই মাছ চাষ করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মৎস্য চাষিরা। শুধু হারিয়ে যাওয়া মাগুর, শিঙ্গি, কই, সরপুঁটি ইত্যাদি মাছের যেমন সফল বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে তেমনি রুই, কাতলা, গ্রাস কার্প, কমনকার্পের সঙ্গে নিত্যনতুন মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে হলদিয়া মৎস্য দপ্তর।
বছরের শুরুতে কেন্দ্রীয় মিঠে জল মৎস্য গবেষণাকেন্দ্র ‘সিফা’ থেকে ‘দাক্ষিণাত্যের রুই’ মাছের চারা আনা হয়েছিল হলদিয়ায়। ওই ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমনকুমার সাহু জানান, এই দেশি মাছটি নদীর মাছ। খুব সহজেই বাড়ির পুকুরে অন্য দেশি মাছের সঙ্গে মিশ্র চাষ করা যায় এই মাছের। মাছটির বিজ্ঞানসম্মত নাম লেবিও ফিমব্রিয়েটাস। কর্ণাটকে এর স্থানীয় নাম ‘খেমমীনু’। এই মাছ শাকাহারী তাই অনায়াসেই বাংলার রুই, কাতলার সঙ্গে চাষ করা যায়। ১৭৯৫ সালে ব্লোচ নামক বিজ্ঞানী প্রথম মাদ্রাজ উপকূলীয় নদীতে এই মাছের সন্ধান দেন। রুই, কাতলা ইত্যাদি কার্প জাতীয় মাছের মতো নদীর মাছ এটি। তাই একে কৃত্রিমভাবে প্রজননের মাধ্যমে বাণিজ্যিক চাষের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র।
মাছটি সর্বাধিক ৩.৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। হলদিয়া ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জয় দাস, হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত হাজরা, সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গোকুল মাজি প্রমুখ মৎস্য চাষিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী জানান, রাজ্যে মাছ চাষে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে হলদিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.