শ্রীকান্ত পাত্র: গৃহস্থের কাছে আদার কদর যে কতখানি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মশলা হিসাবে আদার দৈনন্দিন বহুল ব্যবহার হলেও ভেষজ ওষুধ হিসাবেও আদার কদর কম নয়। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুকনো আদায় শতকরা ৫০ ভাগ স্টার্চ ও ১-২ ভাগ উদ্বায়ী তেল থাকে। মাদক দ্রব্যও তৈরি হয় আদা থেকে। আদা লাভজনক হিসাবে চাষ হলেও ঘরোয়া প্রয়োজনে একটুখানি জমিতে আদা চাষ করা যায়। আজকাল অনেকের বাড়ির উঠোনে পরিত্যক্ত পলিথিন বা চটের ব্যাগে মাটি ভরে আদা চাষ করা হচ্ছে। সামান্য পরিচর্যা করেই আদার ভাল ফলন পাওয়া যায়। মিটতে পারে দৈনন্দিন প্রয়োজনও।
সাধারণত বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে আদা চাষ শুরু হয়। এই সময়ে বাজারে বীজ আদা কিনতে পাওয়া যায়। বেলে, বেলে-দোঁয়াশ বা এঁটেল-দোঁয়াশ মাটি আদা চাষের উপযোগী। ৬-৮বার লাঙ্গল দিয়ে সমতল করে জমি তৈরি করে নিতে হবে। জমি তৈরির সময় একরে ৫-৬ টন গোবর সার প্রয়োগ করে ভালভাবে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। আদার ফলন ভাল পেতে হলে শেষ চাষের আগে একরে ৪০ : ৬০ : ৫০ অনুপাতে নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম প্রয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। এছাড়া একরে ২৫০ কেজি সরিষা খোল প্রয়োগ করতে পারলে আদার ফলন আরও ভাল হয়। আদা লাগানোর এক মাস পর জমিতে ২০ কেজি নাইট্রোজেন প্রয়োগ করতে হবে। আদা চাষের জমিতে আগাছা জন্মাতে দেওয়া চলবে না।
আদা লাগাবার ৭-৮মাস পরেই আদা তোলার উপযোগী সময়। গাছের পাতা হলুদ রঙের হলে ও গাছের ডাঁটা শুকোতে শুরু করলে আদা তোলা শুরু করতে হবে। আদা তুলে গায়ে লেগে থাকা মাটি পরিষ্কার করে নিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। অনেক সময় প্রথম বছর আদা না তুলে দ্বিতীয় বছরে তোলা হয়। এতে ফসল বৃদ্ধি হয় বলে জানিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.