বিক্রম রায়, কোচবিহার: আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে কুয়াশায় ঢেকেছে গোটা জেলা। তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ ডিগ্রিতে। এতে শীতের আমেজ এলেও কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চাষিদের। কোচবিহার জেলায় প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। সেই আলুর অধিকাংশই এখনও মাটিতে রয়েছে। এই অবস্থায় কুয়াশার জেরে আলু নাবি ধসা রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে জেলার চাষিদের সতর্ক করা হয়েছে। কয়েকদিন এই পরিস্থিতি থাকলে চাষিদের ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বেশি হতে পারে বলেই ধারণা কৃষি দপ্তরের। জেলার কৃষি আধিকারিক অরুণ বোস জানান, কুয়াশায় যেহেতু চারিদিক ঢেকেছে, তাই আলুতে নাবি ধসা দেখা দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকদিন ঘন কুয়াশার পর উঠলেও এই রোগের আশঙ্কা কমে যায় না তাই সতর্কতামূলক ভাবে নিয়মিত ‘ম্যানকজ’ স্প্রে করা উচিত। সচেতনতামূলকভাবে এই বার্তা তারা জেলা জুড়ে দিচ্ছেন।
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, কোচবিহার জেলায় আলুর ফলন সম্প্রতি অনেকটাই বেড়েছে। জেলায় আলুর ফলন প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে হয়। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে আলু ওঠানো শুরু হলেও অধিকাংশ আলু এখনও জমিতেই রয়েছে। কাজেই সেখানে এই ধরনের আবহাওয়ায় আলুতে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু আলুতে নয়, জেলায় ডালের বিভিন্ন প্রজাতির চাষ প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে হয়। সে ক্ষেত্রে কয়েকদিন লাগাতার ঘন কুয়াশা থাকলে মুসুর ডালের গাছেও ধসা রোগ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গাছ লাল হয়ে শুকিয়ে যায়। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে আগাম সর্তকতা নেওয়া উচিত। যদিও সবজির চাষের ক্ষেত্রে সেভাবে ক্ষতির আশঙ্কা না থাকলেও শসা চাষিদের এই আবহাওয়ায় সর্তকতা অবলম্বন করে নিয়মিত পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট ওষুধ স্প্রে করার বার্তা গ্রামগঞ্জে কৃষি দপ্তরের কাছ থেকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.