দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একসময় মজে যাওয়া খাল ছিল এলাকার কৃষকদের কাছে অভিশাপ। একবার চাষের পর সারা বছর পড়ে থাকত জমি। ক্যানিং এক নম্বর ব্লকের হাটপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলবেড়িয়ার সেই মজা খালকেই খনন করে নবজন্ম দিল রাজ্য সরকার৷ ‘আদমি’ প্রকল্পে প্রায় দু’বছর যাবৎ পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা হয় ওই খালটিকে৷ গ্রামের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে এই প্রকল্প নতুন দিশা দেখাবে বলে আশা কৃষকদের।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং এক নম্বর ব্লকের হাটপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলবেড়িয়ায় যান পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। গ্রামে গিয়ে একেবারে খাল পাড় ধরে কৃষকদের খামারে চলে যান মন্ত্রী। সেখানে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কথা বলেন। এলাকার নতুন খাল পাড়ে পেঁপে গাছ দেখে মন্ত্রী বলেন, ‘‘খালের জল দিয়ে ধান চাষের উপর জোর দিন। পেঁপে গাছ দিয়ে এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব নয়। ধান, ডাল ও সূর্যমুখী ফুলের চাষ করতে হবে।’’ খালের জল দিয়ে চাষ আগামিদিনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ব্লকে গড়ে তোলা হবে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রীর আশা, এই কাজ গোটা জেলায় করতে পারলে গ্রামের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে।
লঙ্কা, পালং-সহ অন্যান্য সবজির চাষও ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি। খেসারির ডাল হাতে নিয়ে দেখেন মন্ত্রী৷ এছাড়া খালে মাছের চাষ নিয়ে মৎস্যচাষীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রুই, কাতলার পরির্বতে চিংড়ি চাষের উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘লবণাক্ত জলে চিংড়ির চাষ ভাল হয়। যা বিদেশে রপ্তানি করে অতিরিক্ত আয় করা সম্ভব৷ যেমন মেদিনীপুর বদলে গিয়েছে, ঠিক সেভাবেই বদলে যেতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনাও৷’’ মন্ত্রীর কাছে নিজেদের সমস্যার কথাও তুলে ধরেন কৃষকরা৷ তাঁদের অভিযোগ, গ্রীষ্মের শুরু হতে না হতেই বিভিন্ন এলাকার খাল শুকিয়ে যায়। তার ফলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়৷ পিয়ালি নদী থেকে এই সব খালগুলিতে জল ভরার ব্যবস্থা করতে পারলে চাষের ক্ষতি হবে না বলেই আশা কৃষকদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.