সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহ খানেক আগে ধুলোঝড়ে মুম্বইয়ের (Mumbai) ঘাটকোপার এলাকায় ভেঙে পড়ে ১২০ ফুটের একটি ধাতব বিলবোর্ড। অবৈধ বিলবোর্ড ভাঙায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৬ জনের। আহত হন ৭৫ জন। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ভবেশ ভিন্দের বিরুদ্ধে ছিল অভিযোগের পাহাড়। ১০০টির বেশি নোটিস এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙায় জরিমানাও করা হয়েছিল তাঁকে। এহেন ভিন্দের সংস্থাই ১৪ হাজার ৪০০ স্কয়ার ফুটের বিপুলাকার বিলবোর্ডটির বরাত পেয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি প্রভাবশালী আঁতাতেই নিয়ম ভেঙেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল ভিন্দে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যাবতীয় নোটিস তৎসহ জরিমানা অবৈধভাবে বহু বিলবোর্ড স্থাপনের জেরেই। এই ঘটনাতেও ভিন্দে এবং তাঁর কোম্পনিকে মূলচক্রী মনে করা হচ্ছে, যে দুর্ঘটনা সহজেই এড়ানো যেত। চোর পালালে বুদ্ধ বাড়ে, এখন শহরের সমস্ত বিলবোর্ড তথা হোর্ডিং খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবৈধ বিলবোর্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। এমনকী মুম্বইয়ের ভয়ংকর দুর্ঘটনার পর চেন্নাই শহরেও হোর্ডিং, বিলবোর্ড বিপজ্জনকভাবে লাগানো হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ। যাতে করে ভবিষ্যত-বিপর্যয় এড়ানো যায়।
এদিকে বিলবোর্ড কাণ্ডের পরেই ভিন্দে পলাতক হলেও তিনদিন পর রাজস্থানের উদয়পুর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৭২ ঘণ্টা পলাতক থাকার সময় মুম্বই-আহমেদাবাদ হয়ে নাম বদল করে পালানোর চেষ্টা করে ভিন্দে। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এছাড়াও চেক দুর্নীতি, অবৈধভাবে গাছ কাটা-সহ ২৩ রকম অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দায়ের হয়েছিল। যেমন, বিলবোর্ডটিকে যাতে দূর থেকে দেখা যায় তার জন্য আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গাছ কাটে ভিন্দের সংস্থা।
এখন প্রশ্ন উঠছে, ভিন্দের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকলেও ভারতীয় রেল এবং বৃহৎ মুম্বই পৌরনিগমের মতো দায়িত্বশীল সস্থাগুলি তাঁকে হোর্ডিং লাগানোর কাজ দিচ্ছিল কেন? এর পিছনে কি দুই তরফেরই দুর্নীতি রয়েছে? আমলা আঁতাত? কারও কারও অভিযোগ, অর্থ এবং প্রভাব খাটিয়ে মুম্বই শহরেব হোর্ডিং ইন্ডাস্ট্রির রাজা হয়ে উঠেছিল সে। ফলে অধিকাংশ বড় কাজ ভিন্দের সংস্থা ইগো মিডিয়া লিমিটেডই পেত।এখন অবশ্য কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.