সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক বেশি। তাই পরিবারের ভার কমাতে নিজের ২ সৎ বোনকে গলা টিপে খুনের অভিযোগ ১৩ বছরের নাবালিকা দিদির বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিজনোর জেলায় মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খুনের কথা স্বীকার করার পর অভিযুক্ত নাবালিকা দিদিকে গ্রেপ্তার করে জুভেনাইল হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিজনোরের গোহাওয়ার জাইট গ্রামে বাড়ির ভিতর খুন হয় ৫ বছর ও ৭ বছরের ২ শিশু কন্যা। তদন্তে জানা যায়, রাতে ঘুমের মধ্যেই গলা টিপে খুন করা হয় দুজনকে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হয় এলাকায়। কারণ বাইরে থেকে কারও ঘরের ভেতর ঢোকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে পরিবারের কেউ এই খুন করেছে বলেই সন্দেহ করে পুলিশ। এর পর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা। জানা যায়, ওই দুই শিশু কন্যার সৎ দিদি এই খুনে জড়িত।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে সে এই খুন করেছে। খুনের কারণ প্রসঙ্গে সে জানায়, “আমাদের পরিবার বড় হওয়ার জন্য বাবা সবসময় চিন্তায় থাকতেন। বারবার একথা বলতেন তিনি। মা অসুস্থ থাকার জন্য বাড়ির সব কাজ আমাকেই করত হত। তাই কাজের ভার ও পরিবারের সদস্য সংখ্যা কমাতে দুই বোনকে খুন করেছি।” নাবালিকার এহেন দাবিতে স্বাভাবিকভাবেই স্তম্ভিত তদন্তকারীরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই নাবালিকার বাবা একজন ইটভাটার শ্রমিক। গ্রামে একটি এক কামরার ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন তাঁরা।
পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, ওই নাবালিকার মায়ের ২ বিয়ে এবং তাঁর ৬ সন্তান। তাঁদের মধ্যে ২ মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাকি ৪ সন্তানকে নিয়ে গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ১৩ বছরের ওই নাবালিকাকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তারের পর নিয়ে পাঠানো হয়েছে জুভেনাইল হোমে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.