সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষে প্রাণ গেল দু’জনের। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে খোইজুমন্তবি গ্রামে গুলির লড়াই চলে। তাতেই মৃত্যু হয়েছে দুই ‘গ্রামসেবকে’র। ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত দু’মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর। উত্তরপূর্বের রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। মাঝে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠক ডাকেন শাহ। মেতেই-কুকি সংঘাতে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ। কার্যত গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই রবিবার নতুন করে সংঘর্ষের কথা জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাতে ওই সংঘর্ষ বাধে খোইজুমন্তবি গ্রামে। গ্রামে হামলা চালায় বিরোধী গোষ্ঠী। সেই সময় এলাকায় পাহারায় থাকা দুই ‘গ্রামসেবকের’ মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও খবর। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এরই মধ্যে এনএইচ ২-এর কাঙ্গুই (কাংপোকপি) থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্ট এবং কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন। রাজ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। ইউপিএফ মুখপাত্র অ্যারন কিপগেন এবং কেএনও মুখপাত্র সিলেন হাওকিপ জানিয়েছেন, সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন, গ্রাম প্রধান, যুব ও মহিলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার পরেই অবরোধ তুলে নেওয়ার ভাবনা। পাশাপাশি মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গভীর উদ্বেগের কথাও মাথায় রেখেছে ইউপিএফ এবং কেএনও নেতৃত্ব।
এদিকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর ইস্তফার প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং। তিনি জানান, অত্যন্ত মর্মাহত হয়েই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পাশাপাশি মণিপুরের হিংসায় ‘বহিরাগত শক্তি’র উসকানি নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। ৬২ বছরের রাজনীতিক বলেন, ”আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম আমার বাড়ির সামনে অতজন মানুষকে একত্রিত হতে দেখে। আমার মনে হয়েছিল সবাই আমাকে ত্যাগ করেছে। তবে বাইরে গিয়ে যখন ভিড়টা দেখলাম, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলাম। বুঝতে পারলাম মানুষ আমাকে কতটা ভালবাসে। আর তাই আমার সিদ্ধান্ত বদলাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.