সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ সংঘাত একপ্রকার মিটেছে। যদিও নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের আরও একটি মসজিদের সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। রবিবার সম্ভলের সেই শাহী জামা মসজিদ সমীক্ষা করতে সরকারি আধিকারিকরা পৌঁছালে ধুন্ধুমার বেধে যায়। একদল জনতা মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয় আধিকারিকদের। এই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গল্প সেই মন্দির ভেঙে মসজিদের! শাহী জামা মসজিদ সংক্রান্ত মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। মামলায় তিনি দাবি করেন, অতীতে ছিল হরিহর মন্দির। মুঘল আমলে তা ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়। ১৫২৯ সালে এই কাজ করেন মুঘল বাদশা বাবর। বিষ্ণু শংকর জৈনের মামলার ভিত্তিতে মসজিদ সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। গত ১৯ নভেম্বর পুলিশ মোতায়েনে প্রথম দফায় সমীক্ষা মিটেছিল।
এদিন দ্বিতীয় দফায় সমীক্ষার জন্য সরকারি আধিকারিকরা মসজিদে পৌঁছালে অশান্তি শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার প্রায় শতিনেক লোক জড়ো হয়েছিলেন মসিজদের সামনে। আধিকারিকরা মসজিদে প্রবেশ করতে গেলে ইট ও পাথরবৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। যদিও মসজিদের প্রধান বার বার ভিড়কে সরে যেতে অনুরোধ করেন। পুলিশ আধিকারিকরাও ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি শামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর পরেও অশান্তি থামানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পরে জানা যায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তির তা জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০ জন পুলিশকর্মী।
তীব্র উত্তেজনার কারণে গত কয়েক দিন ধরেই বাড়তি পুলিশ মোতায়েন ছিল শাহী জামা মসজিদে এবং মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়। পাঁচজনের বেশি একত্র হওয়াতেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। এর পরেও এদিন অশান্তি এড়ানো গেল না। যদিও সাময়িক অশান্তির পরে আদালতের নির্দেশ মতো সমীক্ষা সম্পূর্ণ করেন সরকারি আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.