সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ যতখানি আশঙ্কা জাগিয়ে আছড়ে পড়েছিল ওড়িশার সমুদ্র উপকূল ধামরায় ও ভিতরকনিকায়, ততখানি ভয়ংকর আকার ধারণ করেনি শেষ পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যে ঝড়ের দাপটে মৃত্যুর খবর নেই। তবে, দুর্যোগের জেরে ১৪টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রাজ্যের প্রায় ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ। রবিবার ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এই তথ্য জানিয়েছে।
গত কয়েক বছরে আয়লা, ইয়াস, আমফানের মতো একাধিক ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় সাক্ষী থেকেছে ওড়িশা ও বাংলার উপকূল অঞ্চল। যদিও সেই ঝড়গুলির তুলনায় কমজোরি ছিল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। ধীরে ধীরে ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সামনে আসছে। ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী সুরেশ পূজারি রবিবার জানান, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৬ হাজার ২১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সেগুলিতে আশ্রয় নেন ৮ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
মন্ত্রী আরও জানান, ১৪টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দ্রাপাড়া জেলা। রাজ্যের প্রায় ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ বিপর্যস্ত হয়েছেন সাম্প্রতিক দুর্যোগে। এখনও ওড়িশার ১১৭৮টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে প্রচুর মানুষ রয়েছেন। প্রশাসন তাঁদের খাওয়া, চিকিৎসা-সহ সব রকম ব্যবস্থা করছে। গ্রামাঞ্চলে ঘরবাড়ির ক্ষতি হওয়ায় ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। ওড়িশা সরকারের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে প্রায় পাঁচ হাজার ৮৪০টি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপর্যয় কবলিত এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন প্রশাসনের লোকেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.